পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौठ-ब्रक्रमांयणौ واہ e 0ا অভিশাপ অনেক দিন থেকে আছে দেশের উপর। সেইজন্তে প্রায়শ্চিত্ত করতে বসেছেন একজন। সেই প্রায়শ্চিত্তে সকলকে মিলতে হবে, সেই মিলনেই আমাদের চিরমিলন শুরু হবে। মৃত্যুর বৃহং পাত্রে তার প্রায়শ্চিত্ত তিনি আমাদের সকলের সামনে ধরলেন, এগিয়ে দিলেন আমাদের হাতের কাছে। গ্রহণ করে। সকলে, ক্ষালন করো পাপ । মঙ্গল হবে। তার শেষ কথা আজ আমি তোমাদের শোনাতে এসেছি । डिनि फ़्रज्ञ आहइन, किङ डिनि मूझ ८मझे । उिनि बांशांशद्र अख्tब्रहे चाप्छन । যদি জীবন দিতে হয় তাকে আমাদের জন্তে তবে অস্ত থাকবে না পরিতাপের । মাথা হেঁট হয়ে যাবে আমাদের । তিনি আমাদের কাছে যা চেয়েছেন, তা দুরূহ, দুঃসাধ্য ব্রত। কিন্তু তার চেয়ে দুঃসাধ্য কাজ তিনি করেছেন, তার চেয়ে কঠিন ব্রত র্তার। সাহসের সঙ্গে যেন গ্রহণ করতে পারি তার দেওয়া ব্রত । ষাকে আমরা ভয় করছি সে কিছুই নয়। সে মায়া, মিথ্যা । সে সত্য নয় ; মানব না আমরা তাকে । বলে অভ্যাজ সবাই মিলে, আমরা মানব না সেই মিথ্যাকে । বলো, আজ সমস্ত হৃদয় দিয়ে বলে, ভয় কিসের। তিনি সমস্ত ভয় হরণ করে বসে আছেন। মৃত্যুভয়কে জয় করেছেন। কোনো ভয় যেন আজ থাকে না আমাদের । লোকভয়, রাজভয়, সমাজভয়, কিছুতেই যেন সংকুচিত না হই আমরা। তার পথে তারই অনুবতী হয়ে চলব, পরাভব ঘটতে দেব না তার। সমস্ত পৃথিবী আজ তাকিয়ে আছে। যাদের মনে দরদ নেই তারা উপহাস করছে। এত বড়ো ব্যাপারটা সত্যই উপহাসের বিষয় হবে, যদি আমাদের উপরে কোনো ফল না হয় । সমস্ত পৃথিবী আজ বিস্মিত হবে, যদি র্তার শক্তির আগুন আমাদের সকলের মনের মধ্যে জলে ওঠে ; যদি সবাই বলতে পারি, ‘জয় হোক তপস্বী, তোমার তপস্ত সার্থক হোক।’ এই জয়ধ্বনি সমূত্রের এক পার থেকে পৌছবে আর-এক পারে ; সকলে বলবে, সত্যের বাণী অমোঘ। ধন্ত হবে ভারতবর্ষ। আজকের দিনেও এত বড়ো সার্থকতায় যে বাধা দেবে সে অত্যন্ত হেয় ; তাকে তোমরা ভয়ে যদি মান তবে তার চেয়ে হেয় হলে তোমরা । জয় হোক সেই তপস্বীর যিনি এই মুহূর্তে বসে আছেন মৃত্যুকে সামনে নিয়ে, ভগবানকে অন্তরে বসিয়ে, সমস্ত হৃদয়ের প্রেমকে উজ্জল করে জালিয়ে। তোমরা জয়ধ্বনি করে তার, তোমাদের কণ্ঠস্বর পেীছক তার আসনের কাছে। বলে, ‘তোমাকে গ্রহণ করলেম, তোমার সত্যকে স্বীকার করলেম ।’ আমি কীই বা বলতে পারি। আমার ভাষায় জোর কোথায় । তিনি যে ভাষায় বলেছেন সে কানে শোনবার নয়, সে প্রাণে শোনবার ; মানুষের সেই চরম ভাষা, নিশ্চয়ই তোমাদের অস্তরে পৌচেছে ।