পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্রমের রূণ বিকাশ প্রাচীন ভারতের তপোবন জিনিসটির ঠিক বাস্তব রূপ কী তার স্পষ্ট ধারণা আজ অসম্ভব। মোটের উপর এই বুঝি যে আমরা বাদের ঋষিমুনি বলে থাকি অরণ্যে ছিল তাদের সাধনার স্থান। সেইসঙ্গেই ছিল স্ত্রী পরিজন নিয়ে তাদের গার্হস্থ্য । এই-সকল আশ্রমে কাম ক্রোধ রাগ দ্বেষের আলোড়ন যথেষ্ট ছিল, পুরাণের আখ্যায়িকায় তার বিবরণ মেলে । কিন্তু তপোবনের যে চিত্রটি স্থায়ীভাবে রয়ে গেছে পরবর্তী ভারতের চিত্তে ও সাহিত্যে, সেটি হচ্ছে কল্যাণের নির্মল স্বন্দর মানসমূতি, বিলাসমোহমুক্ত বলবান আনন্দের মূর্তি। অব্যবহিত পারিপাখিকের জটিলতা আবিলত অসম্পূর্ণতা থেকে পরিত্রাণের আকাঙ্ক্ষা এই কাম্যলোক স্বষ্টি করে তুলেছিল ইতিহাসের অস্পষ্ট স্বতির উপকরণ নিয়ে। পরবর্তীকালে কবিদের বেদনার মধ্যে যেন দেশব্যাপী একটি নির্বাসনদুঃখের আভাস পাওয়া যায়, কালিদাসের রঘুবংশে তার স্বম্পষ্ট নিদর্শন আছে। সেই নির্বাসন তপোবনের উপকরণবিরল শাস্ত স্বন্দর যুগের থেকে ভোগৈশ্বৰ্ষজালে বিজড়িত তামসিক যুগে । কালিদাসের বহুকাল পরে জন্মেছি, কিন্তু এই ছবি রয়ে গেছে আমারও মনে । যৌবনে নিভৃতে ছিলুম পদ্মাবক্ষে সাহিত্যসাধনায়। কাব্যচর্চার মাঝখানে কখন এক সময়ে সেই তপোবনের জাহান আমার মনে এসে পৌঁচেছিল। ভাববিলীন তপোবন আমার কাছ থেকে রূপ নিতে চেয়েছিল আধুনিককালের কোনো একটি অহুকূল ক্ষেত্রে। ষে প্রেরণা কাব্যরূপ-রচনায় প্রবৃত্ত করে, এর মধ্যে সেই প্রেরণাই ছিল— কেবলমাত্র বাণীরূপ নয়, প্রত্যক্ষরূপ । অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে আমার মনে এই কথাটি জেগে উঠেছিল, ছেলেদের মানুষ করে তোলবার জন্তে যে-একটা যন্ত্র তৈরি হয়েছে, যার নাম ইস্কুল, সেটার ভিতর দিয়ে মানবশিশুর শিক্ষার সম্পূর্ণত হতেই পারে না। এই শিক্ষার জন্তে আশ্রমের দরকার, যেখানে আছে সমগ্রজীবনের সঙ্গীব ভূমিকা। प्ठात्रावटमग्न ८कक्षइट्ज च्याएझन सक्र । डिनि बल्ल बन, डिनि बांङ्मय । मिझिङ्गुज्रोट्द মানুষ মন, সক্রিয়ভাবে ; কেননা মন্থন্তত্বের লক্ষ্য-সাধনে তিনি প্রবৃত্ত। এই তপস্তার গতিমান ধারায় শিল্পদের চিত্তকে গতিশীল করে তোলা র্তায় আপন সাধনারই অঙ্গ ।