পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԾՖԵ- রবীন্দ্র-রচনাবলী শান্তিনিকেতনে বিদ্যালয়-স্থাপনের প্রস্তাবে আমি পিতার সন্মতি পেয়েছি। তিনি আমাকে বললেন, এই সংকল্পকে কার্ষে প্রতিষ্ঠিত করতে বিলম্ব করবার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি তার কয়েকটি অনুগত শিষ্য ও ছাত্র নিয়ে আশ্রমের কাজে প্রবেশ করলেন। তখনই আমার তরফে ছাত্র ছিল রথীন্দ্রনাথ ও তার কনিষ্ঠ শমীন্দ্রনাথ। আর অল্প কয়েকজনকে তিনি যোগ করে দিলেন। সংখ্যা অল্প না হলে বিদ্যালয়ের সম্পূর্ণতা অসম্ভব হত। তার কারণ, প্রাচীন আদর্শ অনুসারে আমার এই ছিল মত যে, শিক্ষাদানব্যাপারে গুরু ও শিন্যের সম্বন্ধ হওয়া উচিত আধ্যাত্মিক। অর্থাৎ শিক্ষা দেওয়াটা গুরুর আপন সাধনারই প্রধান অঙ্গ। বিদ্যার সম্পদ যে পেয়েছে তার নিজেরই নি:স্বাৰ্থ দায়িত্ব সেই সম্পদ দান করা। আমাদের সমাজে এই মহৎ দায়িত্ব আধুনিক কাল পর্যস্ত স্বীকৃত হয়েছে। এখন তার লোপ হচ্ছে ক্রমশষ্ট । তখন যে কয়টি ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়ের আরম্ভ হল তাদের কাছ থেকে বেতন বা আহার্য-ব্যয় নেওয়া হত না, তাদের জীবনযাত্রার প্রায় সমস্ত দায় নিজের স্বল্প সম্বল থেকেই স্বীকার করেছি। অধ্যাপনার অধিকাংশ ভার যদি উপাধ্যায় ও ঐযুক্ত রেবার্টাদ– তার এখনকার উপাধি অণিমানন্দ— বহন না করতেন তা হলে কাজ চালানো একেবারে অসাধ্য হত। তখনকার আয়োজন ছিল দরিদ্রের মতো, আহারব্যবহার ছিল দরিদ্রের আদর্শে। তখন উপাধ্যায় আমাকে যে গুরুদেব উপাধি দিয়েছিলেন আজ পর্যন্ত আশ্রমবাসীদের কাছে আমাকে সেই উপাধি বহন করতে হচ্ছে। আশ্রমের আরম্ভ থেকে বহুকাল পর্যন্ত তার আর্থিক ভার আমার পক্ষে যেমন দুর্বহ হয়েছে, এই উপাধিটিও তেমনি। অর্থঙ্কচ্ছ এবং এই উপাধি কোনোটাকেই জারামে বহন করতে পারি নে কিন্তু দুটো বোঝাই যে ভাগ্য আমার স্বন্ধে চাপিয়েছেন তার হাতের দানস্বরূপ এই দুঃখ এবং লাঞ্ছনা থেকে শেষ পর্যন্তই নিষ্কৃতি পাবার আশা রাখি নে । শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের স্থচনার মূল কথাটা বিস্তারিত করে জানালুম। এইসঙ্গে উপাধ্যায়ের কাছে আমার অপরিশোধনীয় কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি। তার পরে সেই কবি-বালক সতীশের কথাটাও শেষ করে দিই । ১ কেহ কেহ এমন কথা লিখেছেন যে, উপাধ্যায় ও রেবার্টার প্রস্টানছিলেন,তাই নিয়ে পিতৃত্বেৰ আপত্তি करनश्tिजन ।। 4 कथा नडा नद्र । भावि निरछ बानि ७३ कथा छूण चामाप्प्रब्र कttन जाग्रीब्र डैीब्र कtई DDDBB BBBBBB BB BBD D DB BBBBDS DDDDS D BD DS DDDDD D0 কোনো ভয় নেই। জামি ওখানে শান্ত শিৰমৰৈতমের প্রতিষ্ঠা করে এসেছি ।