84e ब्रवैौटश-ब्रक्रमांदलौ সভ্যতায় সেই পরিমিতি অনেক দূর ছাড়িয়ে গেছে। ਾਂ, এ সভ্যতা বিরলাঙ্গিক নয়, বহুলাঙ্গিক। এর প্রকাশ ও রক্ষার জন্যে বহু আয়োজনের দরকার ; একে ব্যয় করতে হয় বিস্তর। এই সভ্যতায় সম্বলের স্বল্পতা একটা অপরাধেরই মতো, কেননা বিপুল উপকরণের ভিত্তির উপরেই এ দাড়িয়ে আছে ; যেখানেই অর্থ দৈন্ত সেখানেই এর বিরুদ্ধতা। বিস্তাই হোক, স্বাস্থ্যই হোক, আমোদ-আহলাদ হোক, রাস্তাঘাট আইন-আদালত যানবাহন অশন-জাসন যুদ্ধচালনা শাস্তিরক্ষা সমস্তই বহুধনসাধ্য। এই সভ্যতা দরিদ্রকে প্রতিক্ষণেই অপমানিত করে। কেননা, দারিদ্র্য একে বাধাগ্রস্ত করতে থাকে । এই কারণে ধন বর্তমানকালে সকল প্রভাবের নিদান এবং সকলের চেয়ে সমাদৃত । বস্তুত আজকালকার দিনের রাষ্ট্রনীতির মূলে রাজপ্রতাপের লোভ নেই, ধন-জর্জনের জন্তু বাণিজ্যবিস্তারের লোভ। সভ্যতা যখন এখনকার মতে এমন বহুলাজিক ছিল না তখন পণ্ডিতের গুণীর বীরের দাতার কীতিমানের সমাদর ধনীর চেয়ে অনেক বেশি ছিল ; সেই সমাদরের দ্বারা যথার্থভাবে মমুহূত্বের সন্মান করা হত । তখন ধনসঞ্চয়ীদের পরে সাধারণের অবজ্ঞা ছিল । এখনকার সমস্ত সভ্যতাই ধনের পরাশিত ( parasite)। তাই শুধু ধনের অর্জন নয়, ধনের পূজা প্রবল হয়ে উঠেছে। অপদেবতার পূজায় মাহুষের শুভবুদ্ধিকে নষ্ট করে, আজ পৃথিবী জুড়ে তার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে । মানুষ মানুষের এত বড়ো প্রবল শত্রু আর কোনো দিন ছিল না, কারণ ধনলোভের মতো এমন নিষ্ঠুর এবং অন্যায়পরায়ণ প্রবৃত্তি আর নেই। আধুনিক সভ্যতার অসংখ্যবাহুচালনায় এই লোভই সর্বত্র উন্মখিত এবং এই লোভপরিতৃপ্তির আয়োজন তার অন্ত-সকল উদ্যোগের চেয়ে পরিমাণে বেড়ে চলেছে । किरु ७ कथा निकङ्गड़े छानाउ श्रद cर, cजोरङ मात्र, नाप्न बुङ् । काब्र", লোভ সামাজিকতার প্রতিকূল প্রবৃত্তি। ষাতেই মানুষের সামাজিকতাকে দুর্বল করে তাতেই পদে পদে আত্মবিচ্ছেদ ঘটায়, অশাস্তির আগুন কিছুতেই নিবতে দেয় না, শেষকালে মামুষের সমাজস্থিতি বিভক্ত হয়ে পঞ্চত্ৰ পায়। পাশ্চাত্য দেশে জাজ দেখতে পাচ্ছি, যারা ধন-অর্জন করেছে এবং স্বারা অর্জনের বাহন তাদের মধ্যে কোনোমতেই বিরোধ মিটছে না। মেটবার উপায়ও নেই। কেননা, যে মানুষ টাকা করছে তারও লোভ যতখানি যে মানুষ টাকা জোগাচ্ছে তারও লোভ তার চেয়ে কম নয়। সভ্যতার স্বযোগ যথেষ্টপরিমাণে ভোগ করবার জন্তে প্রচুর ধনের জাবস্তকতা উভয়পক্ষেই। এমন জ্বলে পরম্পরের মধ্যে ঠেলাঠেলি কোনো এক জায়গায় এসে থামবে, এমন আশা করা ৰায় না ।
