পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२२ রবীন্দ্র-রচনাবলী কর্তব্য, এই বিশ্বভারতীর সঙ্গে তার চিত্তের যোগ কোথায়, তা'আমরা শুনতে চাই। আমি এই স্থযোগ গ্রহণ করে আপনাদের অনুমতিক্রমে তাকে সভাপতির পদে বরণ করলুম।” এই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ষে বক্তৃতা করেন তাহা এই গ্রন্থের ৩.সংখ্যক প্রবন্ধ রূপে মুত্রিত হইল— পূর্বে তাহ শান্তিনিকেতন পত্রের ১৩২৮ মাৰ সংখ্যায় বিশ্বভারতী পরিষদ-সভার প্রতিষ্ঠা' নামে প্রকাশিত হইয়াছিল। সভাপতি রূপে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের অভিভাষণের সংক্ষিপ্ত ও অসম্পূর্ণ প্রতিবেদন' শাস্তিনিকেতন পত্রের ১৩২৮ মাঘ সংখ্যায় প্রকাশিত পূর্বোল্লিখিত বিবরণ হইতে পরিশিষ্ট্রে भूबिउ श्झेज । ৪-সংখ্যক রচনাটি 'আলোচনা : বিশ্বভারতীর কথা' নামে ১৩২৯ ভাদ্র ও আশ্বিন -সংখ্যা শাস্তিনিকেতন পত্রে প্রকাশিত হয়— “গত ২০শে ফান্ধন বিশ্বভারতীর কয়েকটি নবাগত ছাত্র আচার্ধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের নিকট বিশ্বভারতীর আদর্শ সম্বন্ধে কিছু শুনিতে চাহিলে তিনি বাহা বলিয়াছেন তাহার মর্ম।” এই আলোচনার পরিশেষে রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমি চাই, তোমরা বিশ্বভারতীর নূতন ছাত্রেরা খুব উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে এখানকার আদর্শকে সমর্থন করে কাজ করে যাবে, যাতে আমি তোমাদের সহযোগিতা লাভ করি। আমার অনুরোধ যে, তোমরা এখানকার তপস্তাকে শ্রদ্ধা করে চলবে, যাতে এই প্রাণ-দিয়ে-গড়ে-তোলা প্রতিষ্ঠানটি অশ্রদ্ধার আৰাতে ভেঙে না পড়ে ।” ‘বিশ্বভারতীর আদর্শ প্রচার -কল্পে কলিকাতায় বিশ্বভারতী সম্মিলনী নামে ষে একটি সভা স্থাপিত হয়’, ১৩২৯ সালে তাহার একটি অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর আদর্শ ব্যাখ্যা করেন, ৫-সংখ্যক রচনা সেই বস্তৃতার অঙ্কুলিপি ; ‘বিশ্ব ভারতী সন্মিলনী : লেভি-সাহেবের বিদায়-সম্বর্ধনার পরে আলোচনাসভা’ নামে ইহা শান্তিনিকেতন পত্রের ১৩২৯ পৌষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ভাদ্র-আশ্বিন ১৩২৯ সংখ্যা শান্তিনিকেতন পত্রে ‘জাপ্রম সংবাদ'-এ প্রকাশিত সিলভ্য লেভি-সম্পর্কিত বিবরণ হইতে বক্তৃতার তারিখটি অনুমিত । ১৯২২ সালের ২১ অগস্ট রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ছাত্রসভায় বিশ্বভারতী সম্বন্ধে যে বকৃত দেন, ৬-সংখ্যক রচনা তাহার অঙ্কলিপি। Presidency College Magazine-4 (vol. ix no. 1, September 1922) wiki