পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

h बाऋकोछूक O86 ( কোণে একটা দেরাজ সবলে খুলিয়া ) বাং, এই তো ঠিক হয়েছে। চেনটিও দিব্যি। তা হলে ঘড়িসুদ্ধ এইটি দখল করা যাক। । কী হে চন্দ্র, এত ব্যস্ত কেন ? পুলিস ? পুলিস আসছে ? আমাকে পালাতে হবে ? কেন, কী দুষ্কর্ম করেছি! কেবল এক ভদ্রলোকের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছি, তার যা শাস্তি যথেষ্ট হয়েছে। তাই তো সত্যিই দেখছি! চন্দ্র কোথায় গেল ! হরিবাবুর সেই লোকটিকেও যে দেখছি নে ! সবাই পালিয়েছে ! দেখো বাপু, গায়ে হাত দিয়ে না। ভালো হবে না। আমি ভদ্রলোক। চোর নই, জালিয়াত নই। উ, কর কী ! লাগে যে! বাবা, আজ সমস্ত দিন কেবল মুড়ি খেয়ে পথ চেয়ে আছি, আজ তোমাদের এ-সব ঠাট্টা আমার ভালো লাগছে না। পেয়াদ বাবা, বরঞ্চ কিছু জলপানি নাও । ( পকেটে হাত দিয়া ) হায় হায়, একটি পয়সা নেই। দারোগ সাহেব, যদি চোর ধরতে চাও চলো আমি তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি। জেল স্থষ্টি হয়ে পর্যন্ত এতবড়ো চোর পৃথিবীতে দেখা দেয় নি। কী করেছি বলে দেখি । জীবনবাবুর নাম সই করে হামিলটনের দোকান থেকে ঘড়ি এনেছি ? পেয়াদাসাহেব, ভদ্রলোক হয়ে ভদ্রলোকের নামে ফস করে এতবড়ো অপবাদটা দিলে ? ও কী ও । ওটা ধরে টেনো না । ও আমার ঘড়ি নয়। শেষকালে যদি চেন-মেন ছিড়ে যায় তা হলে আবার মুশকিলে পড়তে হবে। কী ? এই সেই হামিলটনের ঘড়ি ? ও বাবা, সত্যি নাকি ! তা, নিয়ে যাও, নিয়ে যাও, এখনি নিয়ে যাও। কিন্তু, ঘড়ির সঙ্গে আমাকে স্বদ্ধ টান কেন ? আমি তো সোনার চেন নই। আমি সোনার অক্ষয় বটে, কিন্তু সেও কেবল বাপ-মায়ের কাছে । তা, নিতান্তই যদি না ছাড়তে পার তো চলে । বাবা, আমাকে সবাই ভালোবাসে, আজ তার বিস্তর পরিচয় পেয়েছি, এখন তোমার ম্যাজিস্টেটের ভালোবাস কোনোমতে এড়াতে পারলে এ যাত্রা রক্ষে পাই – যদি জোটে রোজ এমনি বিনি পয়সায় ভোজ ! পৌষ \ర్తితి ఇ