পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీని রবীন্দ্র-রচনাবলী ছেলেরা। (দূরে ছুটিয়া গিয়া হাততালি দিয়া) ওরে লক্ষ্মীপেঁচা বেরিয়েছে রে, লক্ষ্মীপেঁচা বেরিয়েছে। , , : লক্ষেশ্বর। হনুমন্ত সিং, ওঁদের কান পাকড়ে আন তো ; একটাকেও ছাড়িল নে। একজন বালক। (চুপি চুপি পশ্চাং হইতে আসিয়া কান হইতে কলম টানিয়া লইয়া )— . ." কাক লেগেছে লক্ষ্মীপেঁচা, লেজে ঠোকর খেয়ে চেঁচা । লক্ষেপ্তর। হতভাগা, লক্ষ্মীছাড়া সব, আজ একটাকেও আস্ত রাখব না! ঠাকুরদাদার প্রবেশ ঠাকুরদাদা। কী হয়েছে লখাদাদা ? মারমূর্তি কেন ? - লক্ষেশ্বর। আরে, দেখো-না ! সক্কালবেলা কানের কাছে চেঁচাতে আরম্ভ করেছে। ঠাকুরদাদা। আজ যে শরতে ওদের ছুটি, একটু আমোদ করবে না ! গান গাইলেও তোমার কানে খোচা মারে ! হায় রে হয়, ভগবান তোমাকে এত শাস্তিও দিচ্ছেন ! লক্ষেশ্বর। গান গাবার বুঝি আর সময় নেই! আমার হিসাব লিখতে ভুল হয়ে যায় যে । আজ আমার সমস্ত দিনটাই মাটি করলে । ঠাকুরদাদা। তা ঠিক। হিসেব ভুলিয়ে দেবার ওস্তাদ ওরা। ওদের সাড়া পেলে আমার বয়সের হিসাবে প্রায় পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন বছরের গরমিল হয়ে যায়।— ওরে বঁাদরগুলো, আয় তো রে! চল তোদের পঞ্চাননতলার মাঠটা ঘুরিয়ে আনি – যাও দাদা, তোমার দপ্তর নিয়ে বোসো গে। আর হিসেবে ভুল হবে না। ঠাকুরদাদাকে ঘিরিয়া ছেলেদের মৃত্য প্রথম। ই ঠাকুরদাদা, চলে । দ্বিতীয় । আমাদের আজ গল্প বলতে হবে । তৃতীয়। না, গল্প না, বটতলায় বসে আজ ঠাকুর্দার পাচলি হবে। চতুর্থ। বটতলায় না, ঠাকুর্দ, আজ পারুলডাঙায় চলো । ঠাকুরদাদা। চুপ, চুপ, চুপ! অমন গোলমাল লাগাস যদি তো লখাদাদা আবার ছুটে আসবে।