পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ব্যঙ্গকৌতুক w & S *تعلیہھے۔ নিশ্চয়ই বৃষ সাজিবার লোকের অভাব হইবে না। বক্ষ্যমাণ অঙ্কে পার্বতী মধুর সম্ভাষণে মহেশ্বরের নিকট হইতে বর্ষফল জানিয়া লইতেছেন। এই অঙ্কে প্রসঙ্গক্রমে সোনার ভারতের দুর্দশায় পার্বতীর বিলাপ এবং রেলগাড়ি প্রচলিত হওয়াতে আর্যাবর্তের কী কী অনিষ্ট ঘটিয়াছে তাহা কৌশলে বর্ণিত হইয়াছে। অবশেষে আঢ়কেশফল কুড়বেশফল এবং গোটিকাপাতফল নামক সুখশ্রাব্য প্রসঙ্গে এই অঙ্কের সমাপ্তি । তৃতীয় অঙ্ক এবং চতুর্থ অঙ্ক। দৃশু কৈলাস গজচর্মে ত্র্যম্বক ও অম্বিক আসীনা নাট্যশালায় গজচর্মের আয়োজন যদি অসম্ভব হয়, কাপে ট পাতিয়া দিলেই চলিবে । এই দুই অঙ্কে বারবেলা, কালবেলা, পরিঘযোগ, বিষ্কম্ভযোগ, অস্বকযোগ, বিষ্টিভদ্র, মহাদগ্ধা, নক্ষত্রফল, রাশিফল, ববকরণ, বালবকরণ, তৈতিলকরণ, কিন্তুঘ্নকরণ, ঘাতচন্দ্র, তারাপ্রতিকার, গোচরফল প্রভৃতির বর্ণনা আছে। অভিনেতাদিগের প্রতি লেখকের সবিনয় অনুরোধ, এই দুই অঙ্কে তাহারা যথাযথ ভাব রক্ষা করিয়া যেন অভিনয় করেন— কারণ অরিদ্বিদশ এবং মিত্রষড়ষ্টক -কথনে যদি অভিনেতার কণ্ঠস্বর ও অঙ্গভঙ্গিতে ভিন্নত না থাকে, তবে দর্শকগণের চিত্তে কখনোই অনুরূপ ভাব উচ্ছসিত হইয়া উঠিবে না। —লেখক পঞ্চমাঙ্ক। দৃশু কৈলাস সিংহের উপর ত্রিপুরারি ও মহাদেবী আসীন (সিংহের অভাবে কাঠের চৌকি হইলে ক্ষতি নাই। —লেখক ) মহাদেবী। প্রভু, দেবদেব, তুমি তো ত্রিকালজ্ঞ, ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান তোমার নখদর্পণে ; এইবার বলো দেখি ১৮৭৯ সালের এক আইনে কী বলে। ত্রিপুরারি। মহাদেবী, শুম্ভনিশুম্ভঘাতিনী, তবে অবধান করে । কোনে-একটি বিষয়ের অনেকগুলি দলিল হইলে তাহার মধ্যে প্রধান খানিতে নিয়মিত স্ট্যাম্প, অপরগুলিতে এক টাকা অনুসারে দিতে হয়। ইহার পর দলিল রেজেস্টরির খরচ, তামাদির নিয়ম, উকিল-খরচা, খাজনাবিষয়ক আইন, ইনকট্যাক্স, বাজিডাক, মনিঅৰ্ডার, সর্বশেষ সাউথ ইস্টার্ন স্টেট রেলওয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ভাড়ার কথা বিবৃত করিয়া যবনিকাপতন । এই অঙ্কে যে ব্যক্তি সিংহ সাজিবে তাহার কিঞ্চিৎ আপত্তি থাকিতে পারে ; অতক্ষণ দুই