পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী ভগ্ন তপস্যার পরে মিলনের বিচিত্র সে ছবি দেখি আমি যুগে যুগে, বীণাতন্ত্রে বাজাই ভৈরবী, আমি সেই কবি । আমারে চেনে না। তব শ্মশানের বৈরাগ্যবিলাসী, দারিদ্র্যের উগ্ৰ দাপে খলখল ওঠে অট্টহাসি দেখে মোর সাজ । হেনকালে মধুমাসে মিলনের লগ্ন আসে, উমার কাপোলে। লাগে স্মিতহাস্য-বিকশিত লাজ । সেদিন কবিরে ডাকো বিবাহের যাত্ৰাপথতলে, পুষ্পমাল্যমাঙ্গল্যের সাজি লয়ে, সপ্তর্ষির দিলে। কবি সঙ্গে চলে । ভৈরব, সেদিন তব প্রেতিসঙ্গদল রক্ত-আঁখি দেখে তব শুভ্রতনু রক্তাংশুকে রহিয়াছে ঢাকি, প্ৰাতঃসূৰ্যরুচি। অস্থিমালা গেছে খুলে মাধবীবল্লৱীমূলে, ভালে মাখা পুষ্পরেণু, চিতাভস্ম কোথা গেছে মুছি । কার্তিক Ꮥ• Ꮤ)ᏔᏍO কৌতুকে হাসেন উমা কটাক্ষে লক্ষিয়া কবি-পানে ; সে হাস্যে মন্দ্রিল বঁাশি সুন্দরের জয়ধ্বনিগানে কবির পর্যানে | ভাঙা মন্দির পুণ্যালোভীর নাই হল ভিড় শূন্য তোমার অঙ্গনে, জীর্ণ হে তুমি দীর্ণ দেবতালয় । অর্ঘ্যের আলো নাই বা সাজালো পুম্পে প্ৰদীপে চন্দনে যাত্রীরা তব বিস্মৃতপরিচয় । সম্মুখপানে দেখো দেখি চেয়ে, ফাল্লুনে তব প্রাঙ্গণ ছেয়ে বনফুলদল ওই এল ধেয়ে উল্লাসে চারি ধারে । > OS