కాక్గాణ శ్రావు কারা প্রাচীরের সম্মুখের পথ এক দিক্ দিয়া রমেশ প্রবেশ করিল ও অপর দিক্ দিয়া বেণী—তাহার নাথায় ব্যাণ্ডেজ বাধা-স্কুলের হেড মাষ্টার বনমালী ও কএকজন ছাত্র । পশ্চাতে বেণর অনুগত আরও দুই চারিজন লোক বেণী । (রমেশকে আলিঙ্গন করিয়া) রমেণ, ভাই রে, নাড়ীর টান বে এমন টান এবার তP টের পেখেছি। রম যে আচাfধ্য হারামজাদাকে হাত কোরে এত শক্রতা করবে, লজ্জ সরমের মাথা খেয়ে নিজে এসে মিথ্যে সাক্ষী দিযে এত দুঃখ দেবে, সে কথা জেনেও যে জানি নি, ভগবান তার শাস্তি আমাকে দিয়েছেন । জেলের মধ্যে তুই বরং ছিলি, ভাল ভীষ্ট, বাইরে থেকে এক্ট ক’টামাস আমি যে তুষের আগুনে জলেপুড়ে গেছি। রমেশ হতবুদ্ধির মত কি ধে করিবে ভাবিয়া পাইল না । বনমালী ও ছেলের অগ্রসর হইয়া পাযের ধুলা লইল । বেণী । ( কাদিয ফেলিয় ) দাদার ওপর অভিমান রাখিসনে ভাই, বাড়ী চলু । মা কেঁদে কেঁদে দু-চক্ষু অন্ধ করবার জোগাড় করেছেন। আমরা শুধু প্রাণে বেঁচে আছি রমেশ । রমেশ । ( বেণীর মাথার ব্যাণ্ডেজট হাত দিয়া দেখাইয়া ) এ কি বড়দা মাথা ভাঙলে কি করে ?
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৩
অবয়ব