পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्यश्व ज्ञकनाबलौ। হয়স্টিংশ পরিচ্ছেদ ঃ জমীদারের পত্র ও প্যন্ত্ৰৰথ, SHE gazed—she reddened like a rose, Sine pale like only lily; She sank within my arms and cried, “Art thou my ain dear Willie ?” “By Him who made yon sun and sky, By whom true love's regarded, I am the man; and thus may still. True lovers be rewarded.” —Burns. সন্ধ্যাকাল আগত। কমলা একাকী ভ্রমণ করিতে করিতে ইচ্ছাপরের নিকটস্থ যমুনা নদীর তীরে যাইয়া পড়িলেন। একাকী যমনার তীরে বসিয়া সবভাবের নিস্তন্ধ ভাব অবলোকন । করিতেছিলেন, ঘন ব্যক্ষাবলীর মধ্যে পাঞ্জ পাঞ্জ খদ্যোৎমালা খেলা করিতেছে, তাহাই দেখিতেছিলেন। নীল আকাশে দুই একটা শত্র মেঘ ভাসিয়া যাইতেছে, শাস্ত নদীর উপর অনেকগুলি নৌকা ভাসিতেছে। রাজা টোডরমল্লের ইচ্ছাপর আগমন উপলক্ষে অনেক দেশের লোক তথায় আসিতেছেন। কমলা সততই চিন্তাশীলা, কিন্তু অদ্য যেন কোন বিশেষ চিন্তায় অভিভূত হইয়া রহিয়াছেন। সেই নদীতীরে বসিয়া শান্ত নয়ন দটী ফিরাইয়া আকাশের দিকে একদটিতে দেখিতেছেন। তাহার শাস্ত জ্যোতিঃ সেই শান্ত নয়ন ও মুখমণ্ডলের উপর পড়িতেছে। আললোয়িত কেশ পষ্ঠদেশে লন্বিত রহিয়াছে, বা বদনমণ্ডল ঈষৎ আবত করিয়া বক্ষঃস্থলের উপর লটাইয়া পড়িয়াছে। বাহর উপর বদনমণ্ডল স্থাপিত রহিয়াছে। কমলা কি চিন্তা করিতেছেন ? কমলা আজি পব্বকালের কথা স্মরণ করিতেছেন। স্বামীর মৃত্যু-কথা তাঁহার সমরণ হইতেছে; সবামীর দেবমুত্তি হৃদয়ে জাগরিত হইতেছে; সবামীর প্রণয়ে হৃদয় উদ্বেলিত হইতেছে। বোধ হইতেছে যেন সন্ধ্যার বায়রে সহিত তাঁহার স্বামীর কণ্ঠনিঃসতে সঙ্গীত বহিয়া যাইতেছে। সঙ্গীতশব্দে চমকিত হইয়া সেই দিকে চাহিয়া দেখিলেন। দেখিলেন নদীর উপর দেবাকৃতি একজন মনুষ্য একখানি তরণী চালন করিতেছেন, এবং আকাশের দিকে চাহিয়া উচ্চৈঃস্বরে গীত গাইতেছেন। কমলা বার বার সেইদিকে অবলোকন করিতে লাগিলেন, তাঁহার হৃদয়ে সহস্ৰ চিন্তা জাগরিত হইতে লাগিল। আবার নৌকারোহী সঙ্গীত আরম্ভ করিলেন। আবার সে সঙ্গীতে কমলার হৃদয় উদ্বেলিত করিল। এক দণ্ড ধরিয়া কমলা সে গান শুনিতে লাগিলেন। যৌবনে কমলা সে গান শনিয়াছিলেন; গানের কথায় কথায় মাধরীত্ব ক্ষরিতেছে; গানের অক্ষরে অক্ষরে পবেমতি গ্রথিত রহিয়াছে! এ কি স্বপ্ন, না সত্য, না পাবাসমতি মাত্র ? আকাশে চাঁদ উঠিল। সেই নীল আকাশ, সেই অনন্ত বাক্ষাবলী, সেই নদী, আলোক পরিপণ করিয়া চন্দ্র উদিত হইল। নৌকাখানি ভাসিতে ভাসিতে নিকটে আসিল, কমলা সেই চন্দ্রালোকে নৌকারোহীর মুখমণ্ডল নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। পতিব্ৰতা নারী পতির কণ্ঠস্বর বিস্মত হয় না, পতির দেবমাত্তি বিস্মত হয় না। বাতাহত পত্রের ন্যায় কমলার দেহলতা কাঁপিতে লাগিল। অচিরে মচ্ছিতা হইয়া কমলা ভূমিতে পতিত হইলেন। ক্ষণেক পর কমলা চৈতন্য লাভ করিয়া দেখিলেন, সেই যৌবনের হৃদয়েশ্বর তাঁহাকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া রহিয়াছেন, সযত্নে ললাটে জল সিঞ্চন করিতেছেন, সল্পেহে সেই কম্পিত ওষ্ঠ চুম্বন করিতেছেন। চিরহতভাগিনী কমলা এই সৌভাগ্যের পশে শিহরিয়া উঠিলেন, পনরায় চক্ষ মাদিত করিলেন, মনে মনে ভাবিলেন-ভগবান! এ যদি স্বপ্ন হয়, যেন এ সখনিদ্রা হইতে জাগরিত না হই। | \ সেই চন্দ্রালোকে, সেই জনশন্য নদীতীরে, সেই নিবিড় বক্ষশ্রেণীর পাশ্বে”, উপেন্দ্রনাথ Q戟