পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रzभश्च ब्रछनावलौ সেই চন্দ্ৰাতপ অধিকতর শোভিত হইয়াছে। চন্দ্রাতপের নীচে বিস্তীর্ণ শয্যা রচিত হইয়াছে, সে শয্যা পারস্য দেশীয় গালিচায় মণ্ডিত, স্থানে স্থানে সন্দের পপ, সন্দের লতা ও অপরাপ পর চিত্রিত রহিয়াছে, এত সন্দের যে সহসা সেই পম্পেলতার উপর পদবিক্ষেপ করিতে সঙ্কোচ হয়। সভার মধ্যস্থলে একটী দ্বিরদ-রদ ও রৌপ্যনির্মিত এবং সবেণে অলঙ্কৃত সিংহাসন স্থাপিত হইয়াছে। তাহার চারিপাশ্বে যোদ্ধা ও জমাদারগণ সমবেত রহিয়াছেন। মধ্যে মধ্যে স্তপোকারে সগন্ধ পাপ সজিত রহিয়াছে, চতুদিকে ভৃত্যগণ বহমোল্য বস্ত্র পরিধান করিয়া চামর ব্যজন করিতেছে। জমীদার ও যোদ্ধগণ সকলেই সবেণ ও বহমোল্য বশে শোভা পাইতেছিলেন। সভার তিনদিকে পদাতিকগণ রণসজায় সজিত হইয়া দন্ডায়মান রহিয়াছে, তাহার পশ্চাতে অশ্বারোহিগণ নিকোষিত অসিহস্তে প্রস্তরপত্তলীর ন্যায় নিমপদ হইয়া রহিয়াছে, তাহার পশ্চাতে আবার মাতঙ্গশ্রেণী দন্ডায়মান রহিয়াছে। এইরুপে তিনদিক সৈন্য সামস্তে বেষ্টিত। সম্মুখে রাজার আসিবার জন্য প্রশস্ত ও অতি দীঘ একটী পথ, সে পথ রক্তবর্ণ মকমল দিয়া মণ্ডিত, তাহার দুইপাশ্বে আবার সৈন্যগণ সেইরাপে সন্নিবেশিত। নিকটে ধরজবহ পদাতিক পতাকাহন্তে দন্ডায়মান, তাহার পশ্চাতে অশ্বারোহী কৃপাণপাশি হইয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছে। তরণঅর্ণীকরণে সেই নিকোষিত খড়া ঝকমক করিয়া উঠিল, প্রাতঃকালের শীতল বায়তে সেই উচ্চ পতাকা সকল পতপত শব্দে উত্তীন হইতে লাগিল। শত যুদ্ধক্ষেত্রে যে জয়পতাকা উড্ডীন হইয়াছিল, আজি ইচ্ছাপারে সেই জয়পতাকা উড়ীন হইতেছে দেখিয়া নিবাসিগণ আনন্দে নিমগ্ন হইতে লাগিল, যোদ্ধাগণের হৃদয় সাহস ও উৎসাহে পরিপণ হইতে লাগিল। সকলেই একবাক্যে “মহারাজের জয় হউক” বলিয়া উঠিল। তাহারা নিস্তন্ধ হইলে সৈন্যগণ ক্রমান্বয়ে সেই জয়স্তুতি উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করিতে লাগিল। সে জয়নাদ চতুঃপাশ্বাস্থ গ্রাম হে ই বা ফল দা মানলি বা বা জিনি | রাজা ধীরে ধীরে সভার দিকে আসিতেছিলেন। তাঁহার দক্ষিণ পাশ্বে" নগেন্দ্রনাথ ও উপেন্দ্রনাথ, অপর পাশ্বে সরেন্দ্রনাথ। পশ্চাতে আর কতিপয় খ্যাতিসম্পন্ন জমীদার ও সৈনিক পরষ ধীরে ধীরে যাইতেছেন। রাজা ধীরে ধীরে যাইয়া সিংহাসনোপরি উপবেশন করিলেন। তখন একবারে শত জয়ঢাক হইতে রণবাদ্য আরম্ভ হইল ; সে সশ্রোব্য গম্ভীর দিগন্তব্যাপী রণবাদ্য গ্রামে গ্রামে শ্রত হইতে লাগিল, নিৰ্ম্মল প্রাতঃকালের নীল গগনমণ্ডলে উত্থিত হইতে লাগিল। সে শব্দ শুনিয়া সৈনিকদিগের রণক্ষেত্রের কথা মনে পড়িল, একেবারে সহস্র অসি কোষ হইতে ঝঞ্জনা শব্দে বাঁহগত হইয়া রবিকিরণে ঝকমক করিতে লাগিল। সে বাদ্য নিন্তব্ধ হইল, তাহার পর কতরপ দশন ক্রমে ক্রমে প্রদশিত হইল। আজি দিল্লীশ্বরের সেনাপতি ও প্রতিনিধি বঙ্গদেশ জয় করিয়া ইচ্ছাপারে উপস্থিত হইয়াছেন, আজি একজন হিন্দ সেনাপতি বঙ্গদেশে শাসন করিতে আসিয়াছেন, সতরাং বঙ্গদেশের মধ্যে যে স্থানে যে কোন আশ্চৰ্য্য বস্তু ছিল, তাহা রাজার সম্মখে প্রদশিত হইবার জন্য সমানীত হইয়াছিল। দরদেশ হইতে খ্যাতিসম্পন্ন নিপুণ বাদ্যকর আপনার বাদ্য শনাইয়া রাজা ও সভাসদগণকে সন্তুষ্ট করিল, দেশ-বিদেশ হইতে সন্দের গায়কগণ সললিত গীতধর্মনিতে সকলের মন মন্ধে করিল, নৰ্ত্তকীগণ আপন অতুল্য রপরাশি বিস্তার করিয়া সললিত স্বরে গীত গাইয়া সকলের হৃদয় অপহরণ করিল, ঐন্দ্রজালিকগণ বিচিত্র ইন্দ্রজাল দেখাইয়া, যোদ্ধগণ অস্তুত মল্লযুদ্ধ প্রদর্শন করিয়া, ধানকেগণ বিস্ময়কর তাঁর বিক্ষেপ করিয়া, সভাসদগণকে পরিতৃপ্ত করিতে লাগিল। অবশেষে কবি ও কথকদিগের কথকতা আরম্ভ হইল। বঙ্গদেশে তৎকালে যাঁহারা কবিত্বশক্তিতে বা কথকতায় পারদশী ছিলেন, সকলেই রাজার নিকট আপনাপন গণের পরিচয় দিবার জন্য উপস্থিত হইয়াছিলেন। একে একে সকলেই আপনাপন নৈপুণ্য প্রকাশ করিলেন। কেহ বা যুদ্ধের বণনা দ্বারা সকলকে উত্তেজিত করিতে লাগিলেন, কেহ বা দেবদেবীর স্তুতি পাঠ করিয়া সকলের মন ভক্তি-পরিপণ করিতে লাগিলেন, কেহ বা প্রেমের কথা আনিয়া শ্রোতাদিগের aも。