পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्राथबौकभ्कण তাহার মধ্যে অনেকেই শিশমহলের অপবে শোভা দেখিতেছিলেন। জেলেখা তাঁহাদিগের ভিতর DBB BBBB BB BBB BB BB BBB BB BBB BBBB BB DDD BBB BB দপণের ভিতর একটী ছায়া দেখাইল । চকিত ও নিস্পন্দ হইয়া নরেন্দ্র সেই দপণের ভিতর সেই ছায়া দেখিতে লাগিলেন, তথা হইতে আর নয়ন ফিরাইতে পারিলেন না ! আলোকে আকৃস্ট পতঙ্গবৎ নরেন্দ্র সেই ছায়ার দিকে চাহিয়া রহিলেন, অনিমেষ লোচনে সেই দপণস্থ প্রতিমাত্তির দিকে চাহিয়া রহিলেন । নরেন্দ্রনাথ কি স্বপ্ন দেখিতেছেন ? নরেন্দ্র কি উন্মত্ত হইয়াছেন ? নরেন্দ্রের শরীর কপিতেছে, তাঁহার হৃদয় সজোরে আঘাত করিতেছে, তাঁহার নয়ন প্ৰপন্দহীন । ক্রমে সে প্রতিমাত্তি দপণ হইতে সরিয়া গেল, সে রমণী অবগঠেন টানিয়া শিশমহল হইতে বাহির হইলেন, উন্মত্ত নরেন্দ্র তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন! রমণী রাজপতে-বেশধারিণী। নরেন্দ্র ভাল করিয়া নিরীক্ষণ করিবার জন্য ক্রমে নিকটে আসিলেন, তথাপি রমণীর অনাবত বাহ ভিন্ন আর কিছু দেখিতে পাইলেন না, মখমণ্ডল অবগুণ্ঠনের ভিতর দিয়া দেখা যায় না। নরেন্দ্রও নারীবেশে, একবার ইচ্ছা হইল রমণীর নাম ধাম জিজ্ঞাসা করেন, কিন্তু নরেন্দ্রের কন্ঠরোধ হইল। একবার ইচ্ছা হইল রমণীর হস্তে আপন হস্ত স্থাপন করেন, কিন্তু তাঁহার হস্ত উঠিল না, হৃদয় সজোরে আঘাত করিতে লাগিল! অচিরাৎ সেই রমণী ও তাঁহার রাজপত সঙ্গিনীগণ সেই বাজার পরিত্যাগ করলেন, নরেন্দ্রও পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। অনেক ঘর, অনেক দ্বার, অনেক পক্ষেপাদ্যান ও প্রাসাদ অতিক্রম করিয়া বাহিরে উপস্থিত হইলেন। তথায় অনেক শিবিকা ছিল, রাজপতকামিনীগণ নিজ নিজ শিবিকায় আরোহণ করিলেন। যে রমণীর দিকে নরেন্দ্র দেখিতেছিলেন তিনিও শিবিকায় আরোহণ করিবার উপক্রম করিলেন। বোধ হইল যেন তিনি যমনানদী ও আগ্রার রাজপ্রাসাদ পাবে দেখেন নাই, কেননা শিবিকায় আরোহণ করিবার পর্বে একবার প্রাসাদ ও নদীর দিকে স্থিরদটি করিয়া দেখিতে লাগিলেন। যমনার বয়তে তাঁহার অবগঠিন নড়িতে লাগিল, নরেন্দ্র তীব্রদটি করিতে লাগিলেন, তাঁহার হৃদয় সফীত হইতে লাগিল! কিন্তু সে অবগঠেন উড়িয়া গেল না, নরেন্দ্র মুখ দেখিতে পাইলেন না। অচিরাৎ শিবিকাযোগে সে রাজপত-বেশধারিণী চলিয়া গেলেন। এ কি হেমলতা ? সেই গঠন, সেই চলন, সেই বাহ: ! দপণে সেই মধমাখা মুখখানি প্রতিফলিত হইয়াছিল! কিন্তু হেমলতা আগ্রায় বেগমমহলে কেন? রাজপত বেশ কি জন্য : নরেন্দ্রনাথ ! প্রেমান্ধ হইয়া কাহাকে হেমলতা মনে করিতেছ ? নরেন্দ্রনাথ ! কেন দেশে দেশে সেই ছায়ার অনুধাবন করিতেছ? अष्झौबिश्ण श्रृंब्रिट्झम ६ आछूट्न्नङ् BUT he who stems a stream with sand, And fetters flame with flaxen band, Has yet a harder task to prove By firm resolve to conquer love. —Scott. বীরনগরের জমীদারের প্রকাণ্ড আটালিকার পাশ্বে সন্দের ও প্রশস্ত উপবন ছিল, সেই উপবন দিয়া নদীতীরে আসা যাইত। সেই উপবনে বাল্যকালে নরেন্দ্রনাথ ও হেমলতা দৌড়াদৌড়ি করিত, সেই নদীকালে বালক-বালিকার সঙ্গে খেলা করিত, হাসিত, কাঁদিত, আবার উচ্চহাস্যে উপবন আমোদিত করিত। আজি সে দিন পরিবত্তিত হইয়াছে, নরেন্দ্রনাথ শান্তিশন্য ইদয়ে দেশে দেশে বেড়াইতেছেন, শ্রীশচন্দ্র শ্বশুরের সম্প্রতি মৃত্যু হওয়ায় জমাদার হইয়াছেন, হেমলতা আজি বালিকা নহেন, নবজমীদারের গহিণী। সায়ংকালে সেই উপবন দিয়া দুইটী রমণী ঘাটে যাইতে ছিলেন। একজন হেমলতা, অপরটী শ্ৰীশচন্দের বিধবা ভগিনী শৈবলিনী । হেমলতার বয়ঃক্রম এক্ষণে পঞ্চদশ বর্ষ হইবে, অবয়ব ক্ষীণ, কোমল ও উজ্জবল র্যপরাশিতে రి 6