পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्राथबौकभ्कण “আমার মৃত্যু সন্নিকট, কিন্তু জিঘাংসা তাতারের ধৰ্ম্ম, আমি স্বধৰ্ম্মম ভুলি নাই, আমার শোণিত শীতল হয় নাই। “উঃ ! আমার মস্তক ঘুরিতেছে। যদি এ তৃষ্ণাত্তকে স্নেহবারি দান করিতে, তবে মসলমানী অকৃতজ্ঞ হইত না, যতদিন জীবন থাকিত—কিন্তু সে কথায় আর কাজ কি ? নরেন্দ্র । এ জীবনের জন্য বিদায় দাও, যদি মৃত্যুর পর আর একবার দেখা হয়, নিঠর নরেন্দ্র। এই হৃদয় বিদীণ করিয়া অস্তরের ভাব তোমাকে দেখাইব । নরেন্দ্র। তখন তুমি আমাকে ভালবাসিবে,— নতুবা এই ছরিকা দ্বারা তোমার পাষাণ-হৃদয় চণা করিব —উন্মাদিনী জেলেখা।” পত্রপাঠ সমাপ্ত হইল। নরেন্দ্রের নয়ন হইতে দুই এক বিন্দ আশ্রবারি পড়িল । তিনি নিস্তন্ধে চিন্তা করিতে করিতে গহে হইতে বাহির হইলেন। রজনী প্রায় শেষ হইয়াছে, সমস্ত নগর নিস্তব্ধ । নরেন্দ্র পদচারণ করিতে করিতে অনেক দরে আসিয়া পড়িলেন, দেখিলেন সম্মুখে যমনা। একটী দীঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া প্রত্যাগমন করিতেছিলেন এরপে সময়ে দেখিলেন যমুনাতীরে একস্থানে কতকগুলি লোক সমবেত হইয়া একটী মতদেহ ভূমিতে সন্নিবেশিত করিতেছে! জিজ্ঞাসা করায় সেই লোকের মধ্যে একজন উত্তর দিল,— মত ব্যক্তি পাবে বেগমমহলে দাসী ছিল, একজন কাফের সৈনিকের সহিত ব্যভিচারিণী হইয়া বাহির হইয়া যায়। বোধ হয় সে সৈনিক উহাকে এক্ষণে হত্যা করিয়াছে, দাসীর বক্ষঃস্থলে এই তীক্ষয় ছুরিকা বসান দেখিলাম। হতভাগিনীর নাম জেলেখা। ’ লয়ন্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ ঃ মথুরা ALLURED him, as the beacon blaze allures The bird of passage, till he madly strikes Against it, and beats out his weary life. —Te*2ny fom. সায়ংকালে শান্তপ্রবাহিণী যমনাকলে মথুরা নগরী বড় সন্দের দেখাইতেছিল। সৰ্য্যে অনেকক্ষণ আস্ত গিয়াছে, গগনে নক্ষত্র এক একটী করিয়া প্রস্ফুটিত হইতেছে, যমনার বিশাল বক্ষের উপর দিয়া সন্ধ্যার বায়ন রহিয়া রহিয়া বহিয়া যাইতেছে, সমস্ত জগৎ শীতল ও শান্ত। মথুরার প্রস্তরবিনিমিতে ঘাট-শ্রেণী জল পৰ্য্যন্ত নামিয়াছে। ব্যক্ষ ও কুঞ্জবনের ভিতর দিয়া মথরোর গোলকনাথের মন্দির দেখা যাইতেছে। ক্রমে রজনী অধিক হইল, হেমন্তকালের চন্দ্রালোকে নদী, গ্রাম, বক্ষ ও মন্দির অতি সন্দের কাস্তি ধারণ করিল। নীল গগনে সাধাংশ যেন ধীরে ধীরে ভাসিতেছে ; নদীবক্ষে দুই একখানি ক্ষুদ্রতরী ভাসমান রহিয়াছে। নদীর দই পাশ্বে নিবিড় কৃষ্ণ বক্ষশ্রেণী নিঃশব্দে দণ্ডায়মান রহিয়াছে; বোধ হইতেছে যেন চন্দ্রের সন্ধাবষণে সমগ্র জগৎ তৃপ্ত হইয়া সনখে নিদ্রিত রহিয়াছে। সহসা নগরের মধ্যে সায়ংকালীন পজা আরম্ভ হইল, শত দেবালয় হইতে শঙ্খ ঘণ্টার নিনাদ শ্রত হইতে লাগিল, সায়ংকালীন বায়নহিল্লোলে সদরেশ্ৰত সে নিনাদ কি সমধর, কি মিল্ট ! সেই ঘণ্টারব ধীরে ধীরে নদীর বক্ষে ও নগরের চতুদিকে বিস্তত হইতে লাগিল, ধীরে ধীরে সেই নীল অনন্ত নৈশ গগনে উত্থিত হইতে লাগিল, উপাসকদিগের মন যেন মহত্তের জন্যও eiB BB BBB BB BB BBB Bi লাগল । নদীকালে একটী প্রস্তরবিনিমিত সোপানশ্রেণীর উপরেই গোলকনাথের দেবমন্দিরে আরতি হইতেছিল। বহুসংখ্যক ব্রাহ্মণ ও পাজক উচ্চৈঃস্বরে সায়ংকালীন গীত গাইতেছিল, অনেক যাত্রী সে পজোয় উপস্থিত হইছিল। যাত্রীদিগের মধ্যে সন্ত্রীলোকই অধিক, বহদের হইতে বহন দেশ হইতে, এই পণ্যস্থানে সমবেত হইয়া অদ্য মন্দির দশন করিয়া যেন জীবন চরিতাথা করিল। ఏ86; SO