পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अहाब्राष्ट्ठे झाँक्न-टझक्षक মরেশ্বর মিলে পিঙ্গলীকে পেশোয়া করেন এবং সমস্ত কঙ্কণপ্রদেশ জয় করিবার জন্য বহনসংখ্যক সৈন্য সংগ্রহ করিলেন। . . * এবার বিজয়পুরের সুলতান শিবজীকে একেবারে ধবংস করিবার মানস করিলেন। ১৬৫৯ খঃ অব্দে আবুল ফাজেল নামক একজন প্রসিদ্ধ যোদ্ধা ৫ooo অশ্বারোহী ও ৭ooo পদাতিক ও বহুসংখ্যল কামান লইয়া যাত্রা করিলেন। তিনি গন্বিতভাবে প্রকাশ করিলেন যে, শীঘ্রই অকিঞ্চিৎকর বিদ্রোহীকে শংখলাবদ্ধ করিয়া সুলতানের পায়তখতের নিকট উপস্থিত করিবেন। এত সৈন্যের সহিত সম্মুখযুদ্ধ অসম্ভব; শিবজী সন্ধি প্রার্থনা করিলেন। আবল ফাজেল গোপীনাথ নামক একজন ব্রাহ্মণকে শিবজী সদনে প্রেরণ করিলেন । প্রতাপগড় দগের নিকট সভামধ্যে দতের সহিত সাক্ষাৎ ও নানারপে কথাবাত্ত হইল, রজনী যাপনাথে গোপীনাথের জন্য একটী স্থান নিন্দেশ করা হইল। রজনীযোগে শিবজী গোপীনাথের সহিত দেখা করিতে আসিলেন । শিবজীর অসাধারণ বাকপটতা ছিল, তিনি গোপীনাথকে অনেক প্রকার বঝোইয়া বলিলেন,—আপনি ব্রাহ্মণ, আপনি আমার শ্রেষ্ঠ, কিন্তু আমার কথাগুলি শ্রবণ করন। আমি যাহা করিয়াছি সমস্তই হিন্দজাতির জন্য, হিন্দুধর্মের জন্য করিয়াছি। স্বয়ং ভবানী আমাকে ব্রাহ্মণ ও গোবৎসাদিকে রক্ষা করিবার জন্য উত্তেজনা করিয়াছেন, হিন্দু দেব ও দেবালয়ের নিগ্রহকারীদিগকে দন্ড দিতে আজ্ঞা দিয়াছেন, ও সবধর্মের শত্রর বিরাদ্ধাচরণ করিতে আদেশ দিয়াছেন। আপনি ব্রাহ্মণ, ভবানীর আদেশ সমর্থন করন এবং আপন জাতীয় ও দেশীয় লোকের মধ্যে সবচ্ছন্দে বাস করন। গোপীনাথ এই সমস্ত বাক্যে তুস্ট হইয়া শিবজীর সহায়তা করিতে স্বীকার করিলেন; পরামশ স্থির হইল যে, কাৰ্য্যসিদ্ধির জন্য আবদুল ফাজেলের সহিত শিবজীর কোন স্থানে সাক্ষাৎ করা আবশ্যক। কয়েকদিন পর প্রতাপগড় দগের নিকটেই সাক্ষাৎ হইল। আবুল ফাজেলের পঞ্চদশ শত সেনা দাগ হইতে কিঞ্চিৎ দরে রহিল, তিনি স্বয়ং একমাত্র সহচরের সহিত শিবিকারোহণে নিন্দিটি গহে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। শিবজী সেই দিন বহয় যত্নে প্রাতে স্নান-পজাদি সমাপন করিলেন। স্নেহময়ী মাতার চরণে মস্তক স্থাপন করিয়া তাঁহার আশীব্বাদ যাদ্ধা করিলেন; জলার কুত্তি ও উষ্ণীষের নীচে লৌহবম ও শিরস্ত্ৰাণ ধারণ করিলেন : অবশেষে শিবজী দগ’ হইতে অবতীর্ণ হইয়া ও বাল্যসহচর তন্নজী মালশ্রীকে সঙ্গে লইয়া আবুল ফাজেলের নিকটে আসিলেন। সহসা আলিঙ্গনচ্ছলে তীক্ষ ছুরিকা দ্বারা মসলমানকে করিলেন! তৎক্ষণাৎ শিবজীর সেনা আবুল ফাজেলের সেনাকে পরাস্ত করিল এবং অনেক দগ" হস্তগত করিয়া বিজয়পরের দ্বার পর্য্যন্ত যাইয়া দেশ লন্ঠন করিয়া আসিলেন। বিজয়পরের সহিত যুদ্ধ আরও তিন বৎসর পয্যন্ত চলিতে লাগিল, কিন্তু কোন পক্ষই বিশেষ জয়লাভ করিতে পারিল না। অবশেষে ১৬৬২ খঃ অব্দে শাহজনী মধ্যবত্তী হইয়া বিজয়পুর ও শিবজীর মধ্যে সন্ধি সংস্থাপন করিয়া দিলেন। শাহজী যখন শিবজীকে দেখিতে আসিলেন, শিবজী পিতৃভক্তির পরাকাঠা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। আপনি অশ্ব হইতে অবতরণ করিয়া পিতাকে রাজার তুল্য অভিবাদন করিলেন, পিতার শিবিকার সঙ্গে সঙ্গে পদব্রজে চলিলেন, ও পিতা বসিতে আদেশ করিলেও তিনি পিতার সম্মুখে আসন গ্রহণ করিলেন না। কয়েক দিন পরের নিকট থাকিয়া শাহজী, পরম তুষ্ট হইয়া বিজয়পরে যাইলেন, ও সন্ধিসংস্থাপন করিয়া দিলেন। শিবজী পিতা কর্তৃক সংস্থাপিত এই সন্ধির বিরাদ্ধাচরণ করেন নাই, শাহজীর জীবন্দুশায় বিজয়পুরের বিরুদ্ধে আর যুদ্ধ করেন নাই। তাহার পরও যখন যুদ্ধ হয়, সে সময়ে iশবজী আক্রমণকারী ছিলেন না। ১৬৬২ খঃ অব্দে এই সন্ধিস্থাপন হয় পাবেই বলা হইয়াছে, এই বৎসরেই মোগলদিগের সহিত যুদ্ধারম্ভ হয়। আমাদের আখ্যায়িকাও এই সময় হইতে আরম্ভ হইয়াছে। মোগলদিগের সহিত যাদ্ধারম্ভের সময় সমস্ত কঙ্কণদেশ শিবজী অধিকৃত করিয়াছিলেন, এবং তাঁহার সপ্ত সহস্ৰ অশ্বারোহী ও পঞ্চাশৎ সহস্র পদাতিক সেনা ছিল। শিবজাঁর বয়স তখন পঞ্চল্লিংশ বৎসর। ১৭৩