পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटधश्च ब्रफ़नावलौ শিবজী আশ্রাপণেলোচনে জয়সিংহকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন-ধম্মাত্মন। আপনার মখে পাপচন্দন পড়কে, আপনার কথাই যেন সাথক হয়! আপনার সহিত যন্ধে করিব না, আমি আত্মসমপণ করিয়াছি, কিন্তু যদি ঘটনাক্রমে পনরায় বাধীন হইতে পারি, তবে ক্ষপ্রিয়প্রবর! আর একদিন আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিব, আর একদিন পিতার চরণোপান্তে বসিয়া উপদেশ গ্রহণ করিব। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ঃ দগাবজয় চৌদিকে এবে সমরতরঙ্গ উথলিল সিন্ধ যথা দ্বন্দ্ৰি বায় সহ নিঘোষে। —মধসদন দত্ত। শীঘ্রই সন্ধি স্থাপন হইল। শিবজী মোগলদিগের নিকট হইতে যে যে দগে জয় করিয়াছিলেন তাহা ফিরাইয়া দিলেন, বিলুপ্ত আহমেদনগর রাজ্যের মধ্যে যে দ্বাৱিংশং দগে অধিকার বা নিম্মাণ করিয়াছিলেন, তাহার মধ্যেও বিংশটী ফিরাইয়া দিলেন, অবশিস্ট দ্বাদশটীমাত্র আরংজীবের অধীনে জায়গীর সবরপে রাখিলেন। যে প্রদেশ তিনি সমাটকে দিলেন তাহার বিনিময়ে বিজয়পর রাজ্যের অধীনস্থ কতক প্রদেশ সম্রাট শিবজীকে দান করিলেন, ও শিবজাঁর অস্টমবষীয় বালক পাঁচহাজারীর মনসবদার পদ প্রাপ্ত হইলেন। শিবজীর যুদ্ধসমাপ্তির পর রাজা জয়সিংহ বিজয়পরের রাজ্য ধবংস করিয়া সেই প্রদেশ দিল্লীশ্বরের অধীনে আনিবার যত্ন করিতে লাগিলেন। শিবজাঁর পিতা বিজয়পরের সহিত শিবজীর যে সন্ধিস্থাপন করিয়াছিলেন, শিবজী তাহা লঙ্ঘন করেন নাই, কিন্তু শিবজাঁর বিপংকালে বিজয়পরের সুলতান সন্ধি বিস্মত হইয়া শিবজাঁর রাজ্য আক্রমণ করিতে সঙ্কুচিত হন নাই। সুতরাং শিবজী এক্ষণে জয়সিংহের পক্ষাবলম্বন করিয়া বিজয়পরের সালতান আলী আদিলশাহের সহিত যাদ্ধারম্ভ করিলেন, এবং আপন মাউলী সৈন্য দ্বারা বহুসংখ্যক দগ হস্তগত করিলেন । জয়সিংহের সহিত শিবজীর সস্তাব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইতে লাগিল, এবং পরস্পরের মধ্যে অতিশয় স্নেহ জন্মিল। উভয়ে সব্বদাই একত্র থাকিতেন ও যুদ্ধে পরপরের সহায়তা করিতেন। বলা বাহুল্য যে, শিবজীর একজন তরণে হাবিলদার সবাদাই জয়সিংহের একজন পরোহিতের সদনে যাইতেন । নাম বলিবার কি আবশ্যক আছে ? সরলস্বভাব পরোহিত জনাদন ক্রমে রঘুনাথকে পত্রবৎ দেখিতে লাগিলেন, সব্বদাই গহে আহবান করিতেন। রঘুনাথও অবসর পাইলেই সেই সরলস্বভাব পারোহিতের নিকট আসিতেন, তাঁহার নিকট রাজস্থানের সংবাদ পাইতেন, রাজা জয়সিংহের কথা শুনিতেন, স্বদেশের কথা শুনিতেন। কখন কখন বা রজনী দ্বিপ্রহর পর্য্যস্ত বসিয়া যন্ধের কথা কহিতেন, পাব তদগে" আক্রমণের কথা, শত্রশিবির আক্রমণের কথা, জঙ্গল বা গিরিচড়ায় ভীষণ যুদ্ধের কথা বর্ণনা করিতেন। এ সকল কথা বলিতে বলিতে যোদ্ধার নয়ন প্রজবলিত হইত, সবর কল্পিত হইত, মাখমন্ডল আরক্ত হইয়া উঠিত। বদ্ধ জনাদন সভয়ে যুদ্ধবাত্তা শুনিতেন, পাশ্বের ঘরে নীরবে বসিয়া সরষবোলা সেই জলন্ত কথাগুলি শনিতেন, নীরবে আশ্রজেল ত্যাগ করিতেন, নীরবে ভগবানের নিকট সেই তরণ যোদ্ধাকে রক্ষা করিবার জন্য প্রার্থনা করিতেন। রজনী দ্বিপ্রহরের সময় কথা সাঙ্গ হইত, মাত্তি'র দিকে চাহিয়া চাহিয়া তৃপ্তিলাভ করিতেন না। ভোজনাস্তে যদি ষোদ্ধা মদস্বেরে বিদায় চাহিতেন, বা অন্য দই-একটী কথা কহিতেন, বেপথমেতী উদ্বিগ্না সরষবোলা তাহার উত্তর দিতে পারিতেন না। লাজায় তাঁহার গণ্ডস্থল আরক্তবর্ণ হইত, নয়ন দুইটী মাদিত হইত, অবর্গঠেন টানিয়া সরয সরিয়া যাইতেন, সহচরীকে দিয়া উত্তর পাঠাইয়া দিতেন। কিন্তু উত্তরের আবশ্যক কি ? সরযর নয়নের ভাষা রঘুনাথ বুঝিতেন, রঘুনাথের নয়নের ভাষা সরয বুঝিতেন। উভয়ের জীবন মন, প্রাণ, প্রথম প্রণয়ের অীনবচনীর আনন্দলহরীতে প্লাবিত হইতেছিল, উভয়ের হৃদয় প্রথম প্রণয়ের উদ্বেগে উৎক্ষিপ্ত হইতেছিল। ᎼᏑᏌ