श्रझाब्राच्छ्रे छौवन-टाकाङ নিকট বলিলেন যে রাজপতের বাক্য অন্যথা হয় না। অথ* দ্বারা, সৈন্য দ্বারা, ষেরাপে পারেন, তিনি আপনার সহায়তা করবেন, তাহাতে যদি তাঁহার প্রাণ যায় তাহাতে স্বীকৃত আছেন। শিবজাঁ। পিতার উপযুক্ত পত্র। কিন্তু আমি তাঁহাকে বিপদগ্রস্ত করিতে চাহি না। আমি পলায়নের যে উপায় উদ্ভাবন করিয়াছি তাহা তুমি তাঁহাকে জানাইয়াছ ? তন্নজী। জানাইয়াছি, তিনি জানিয়া অতিশয় সস্তুষ্ট হইলেন, এবং আপনার সম্পণে সহায়তা করিতে স্বীকৃত হইয়াছেন। শিবজী। ভাল। তন্নজী। এতস্তিন্ন দানেশমন্দ প্রভৃতি যাবতীয় আরংজীবের সভাসদকে মিট কথায়, বা অথ দ্বারা আপনার পক্ষবত্তী করিয়াছি। দিল্লীতে হিন্দ কি মসলমান এরপে বড়লোক কেহ নাই, যিনি আপনার পক্ষবত্তী নহেন। কিন্তু আরংজীব কাহারও পরামর্শ গ্রাহ্য করেন না। শিবজী। তবে সমস্ত প্রস্তুত ! আমি আরোগ্য লাভ করিতে পারি? সহাস্যে তন্নজী বলিলেন—আমার ন্যায় বিজ্ঞ হাকিম যখন আপনার পীড়ার চিকিৎসা আরম্ভ করিয়াছে, তখন পীড়া কি থাকিতে পারে ? কিন্তু আপনার পানের জন্য সন্দের মিস্ট শরবৎ প্রস্তুত করিয়াছিলাম, সমস্তটা নট করিলেন ? শিবজী আর একপার প্রস্তুত করিতে বলিলেন। তন্নজনী সেই পাত্ৰ লইয়া পনরায় শরবৎ প্রস্তুত করিলেন, শিবজী তাহা পান করিয়া সহাস্যে বলিলেন—চিকিৎসক ! আপনার ঔষধ যেরপে মিস্ট সেইরুপ ফলদায়ী, আমার পীড়া একেবারে আরাম হইয়াছে ! শিবজীকে সস্নেহে আলিঙ্গন করিয়া পনরায় উষ্ণীষ ও মশ্র ধারণ করিয়া তন্নজনী গহ হইতে নিশক্লান্ত হইলেন। দ্বারদেশে প্রহরী জিজ্ঞাসা করিল,—পীড়া কিরাপ দেখিলেন ? হাকিম উত্তর করিলেন-পীড়া অতিশয় সঙ্কটজনক, কিন্তু আমার অব্যথা ঔষধিতে অনেক উপশম হইয়াছে। বোধ করি অলপদিনের মধ্যেই শিবজী এ ক্লেশ হইতে সম্পণে আরোগ্যলাভ করিবেন। হাকিম শিবিকাযোগে চলিয়া গেলেন। একজন প্রহরী অন্যকে বলিল,—হাকিম বড় ভাল, এত বৈদ্যে যে পীড়া আরাম করিতে পারিল না, হাকিম একদিনে তাহা আরাম করিলেন কিরাপে ? দ্বিতীয় প্রহরী উত্তর করিল,—হবে না কেন, এ যে রাজবাটীর হাকিম । j অন্টাবিংশ পরিচ্ছেদ ঃ আরোগ্য এত শনি উত্তর ক্ষণেক স্তন্ধ হয়ে। কহিতে লাগিল পুনঃ প্রণাম করিয়ে ॥ হে বীর, কমলচক্ষে কর পরিহার। অজ্ঞানের অপরাধ ক্ষমিবা আমার ॥ —কাশীরাম দাস । উপরি উক্ত ঘটনার কয়েকদিন পর নগরে সংবাদ প্রচারিত হইল যে, শিবজীর পীড়ার কিছ উপশম হইয়াছে। নগরে পুনরায় ধামধাম পড়িয়া গেল, সকলেই সেই কথা কহিতে লাগিল । হিন্দমাত্রেই এ কথা শুনিয়া পরম আনন্দ অনুভব করিল, মহদাশয় মসলমানগণ এই সংবাদ য়া সখী হইলেন। পথে, ঘাটে, দোকানে, মসজীদে, সকলেই এই কথা কহিতে লাগিল। আরংজীব এ সংবাদ শুনিয়া যথোচিত সন্তোষ প্রকাশ করিলেন। নগরে ধামধাম পড়িয়া গেল। শিবজী ব্রাহ্মণদিগকে রাশি রাশি মদ্রো দান করিতে লাগিলেন, দেবালয়ে পজা পাঠাইতে লাগিলেন, চিকিৎসক সকলকে অর্থদানে সস্তুষ্ট করিলেন। বাজারে পাঠাইতে লাগিলেন। পাকুচিত সমস্ত লোকের নিকট ভেট পাঠাইতে লাগিলেন, এমন কি, প্রতি মসজীদে ও ফকীরগণের সেবাথ প্রচুর পরিমাণে মিস্টান্ন পাঠাইতে লাগিলেন। সম্রাটের মনে যাহাই থাকুক, অন্য সকলেই শিবজীর এই বদান্যতা ও সদাচরণে সস্তুস্ট হইয়া তাঁহার প্রশংসা 次や>
