পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԷչՆլօ बाष्ट्र-वन नर्शशङा-ङ्ग-ज्राथानद्व = ঋগ্বেদ সংহিতা।|মলে সংস্কৃত হইতেশ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত কত্ত্বক|বাঙ্গলা ভাষায় অনবেদিতপ্রথম. অষ্টক|কলিকাতা বেঙ্গল গবৰ্ণমেণ্টের যন্ত্রে মদ্রিত|১৮৮৫। উৎসগপত্র ঃ r যাঁহাদিগের সরল সত্যপরায়ণ পবিত্রজীবনের সমাতিমাত্র|এ জগতে|আমার ধৰ্ম্মশ্বরপ হইয়াছে; যাঁহাদিগের অসীম স্নেহ ও বাৎসল্যের চিস্তা|আমার শান্তিস্বরূপ ,সেই সবগারাঢ়া থাকমণি ও স্বগীয় জনক ঈশানচন্দ্র দত্তের|পবিত্র নাম গ্রহণ করিয়া এই গ্রন্থ উৎসগা করিলাম |কলিকাতা ২০ বিডন স্ট্রীট, ১০ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫|শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত| ঋগ্বেদের অনুবাদ কালে রমেশচন্দ্র পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট হইতে বিশেষ উৎসাহ, প্রেরণা ও সহায়তা পাইয়াছিলেন। একথা তিনি এই পুস্তকের ভূমিকায় মক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন। তিনি অন্যত্র লিখিয়াছেন : ইহার পর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শরীর ক্রমশঃ হীনবল হইতে লাগিল। আমি ইতিপবে মধ্যে মধ্যে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া আপনাকে কৃতাৰ্থ জ্ঞান করিতাম। পরে আজি ছয় বৎসর হইল যখন রাজকীয় কাৰ্য্য হইতে অবসর লইয়া কলিকাতায় কিছুদিন বাস করিয়া ঋগ্বেদ সংহিতার অনুবাদ আরম্ভ করি, তখন সব্বদাই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট উপদেশ লইতে যাইতাম এবং তাঁহার সহিত বিশেষ পরিচয় হইল। বলা বাহুল্য যে তাঁহার উদারতা, তাঁহার সহৃদয়তা, তাঁহার দেশহিতৈষিতা ও তাঁহার প্রকৃত হিন্দযোগ্য সমদশিতা যতই দেখিতে লাগিলাম, ততই বিস্মিত ও আনন্দিত হইতে লাগিলাম। তাঁহার সন্দের গ্রন্থাগার তিনি আমাকে দেখাইলেন, তাঁহার সংস্কৃত পুথিগুলি বসিয়া বসিয়া ঘটিতাম। অনেক বিষয়ে সন্দেহ হইলে তাঁহার নিকট উপদেশ চাহিতাম। বাঙ্গালী মাত্র ঋগ্বেদের অনুবাদ পড়িবে, একথা শুনিয়া যাহারা হিন্দী ধমের দোহাই দিয়া পয়সা আদায় করে, তাহাদের মাথায় বজ্রাঘাত পড়িল ৷ ধৰ্ম্মম ব্যাপারিগণ ঋগ্বেদের অচিন্তিত অবমাননা ও সব্বনাশ বলিয়া গলাবাজী করিতে লাগিল,—গলাবাজীতে পয়সা আসে। ধমের দোকানদারগণ অনুবাদ ও অনুবাদককে যথেস্ট গালিবর্ষণ করিতে লাগিল,—গালি বর্ষণে পয়সা আসে। এ সময়ে বিদ্যাসাগর মহাশয় আমাকে যে কথাগুলি বলিলেন, “ভাই উত্তম কাজে হাত দিয়াছ, কাজটী সম্পন্ন কর। যদি আমার শরীর একটা ভাল থাকে, যদি আমি কোনরপে পারি, তোমায় সাহায্য করিব।” পাঠকগণ প্রকৃত হিন্দয়ানী ও হিন্দু ধৰ্ম্ম লইয়া ভণ্ডামির বিভিন্নতা দেখিতে পাইলেন ? নিঃসবাথ দেশোপকার এবং দেশের নাম লইয়া পয়সা উপায়ের মধ্যে প্রভেদ বঝিতে পারিলেন ? সব্বসাধারণকে প্রকৃত হিন্দীশাসসিন্দকে বন্ধ করিয়া রাখিয়া তাহার নাম লইয়া রোজগারের উপায় উদ্ভাবন করার মধ্যে কি বিভিন্নতা, অবগত হইলেন ?" ("ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-নব্যভারত’, ভাদ্র, ১২৯৮) । পুস্তকখানির ভূমিকায় রমেশচন্দ্র আরও কয়েকজন প্রখ্যাত সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতের সহায়তা ও উৎসাহের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। আর একটি কারণে ভূমিকাটি খুবই মাল্যবান। রমেশচন্দ্রের পাস্তক প্রকাশকাল পৰ্য্যন্ত সবদেশে বিদেশে মলে ও অনুবাদে ঋগ্বেদ প্রকাশের যে আয়োজন চলিয়াছিল তাহার একটি আনপোবিক বিবরণ ইহাতে তিনি দিয়াছেন। ইহা হইতে প্রয়োজনীয় অংশ মাত্র এখানে দিলাম: “অনেকদিন হইল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় এই গ্রন্থের একটি সন্দের অনুবাদ আরম্ভ হইয়াছিল, কিন্তু তাহা শেষ হইল না। পরে কয়েক বৎসর হইল সংস্কৃত কলেজের কৃতবিদ্য ছাত্র পণ্ডিত রমানাথ সরস্বতী এই কাৰ্য্য পনরায় আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি অকালে কালগ্রাসে পতিত হইলেন। তাহার পর বঙ্গ ভাষায় এই গ্রন্থ অনুবাদ করিবার আর কোনও চেচ্টা করা হয় নাই, শীঘ্ৰ যে হইবে তাহারও সম্ভাবনা দেখিতেছি না। “অথচ জগতের অন্যান্য সসভ্য দেশে এই গ্রন্থের যথেষ্ট সমাদর ও অনুশীলন আছে। ইউরোপে রোসেন প্রথম বেদজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন, এবং তিনি ঋগ্বেদের প্রথম অ-টক লাটিন ভাষায় অনুবাদ করিয়া গিয়াছেন। তিনি অতিশয় যত্ন ও অসাধারণ পাণ্ডিত্য সহকারে এই অনুবাদটি করিয়াছিলেন। তাহার পর ফরাসী পণ্ডিত লাংলোয়া সমস্ত ঋগ্বেদ সংহিতা ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করিয়াছিলেন। আজ পৰ্য্যন্ত তাঁহার অনুবাদ ভিন্ন ঋগ্বেদ সংহিতার সম্পণে অনুবাদ কোন ভাষায় নাই। লাংলোয়াও সুশিক্ষিত ও সরুচিসম্পন্ন পণ্ডিত ছিলেন, কিন্তু তাঁহার অনুবাদটি তাঁহার নিজের কল্পনায় বিজড়িত, অতএব দ্যুষিত। এদেশে প্রথমে স্টীভেনশান