পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभश्न ब्रछनाबलौ নজি'হান যবেরাজ করণকে আদরের সহিত গ্রহণ করিলেন, এবং খিল্লৎ, হস্তী, ঘোটক, অসি প্রভৃতি নানাদ্রব্য দান করিয়া যবেরাজের মনস্তুষ্টি করিলেন। সম্রাট ও রাজ্ঞী উভয়ে যতদর BB BBBB Bu uBD D BBuB Bu BD BBB BB B প্রাতঃস্মরণীয় প্রতাপসিংহ স্বদেশের রাজা ছিলেন; অমরসিংহ ও করণ এক্ষণে স্বদেশের জায়গীরদার । আজমীরের মহা ধুমধামের মধ্যে, ভারতেশ্বর ও ভারতেশ্বরীর সমাদর ও সম্মানের মধ্যে, করণের প্রযে়াগল কুচিত, করণের ললাট মেঘাচ্ছন্ন ! এইরুপ বহল সম্মান ও উপহার দিয়া সমাট করণকে বিদায় দিলেন। সম্রাট স্বয়ং লিখিয়াছেন যে, তিনি করণকে এই সাক্ষাতে সব্বাসদ্ধে স্বাদশ লক্ষ টাকার উপহার ও একশত দশটী অশ্ব ও পাঁচটী হস্তী দিয়াছিলেন। ইহা ভিন্ন সালতান কুম অন্য উপহার দিয়াছিলেন। করণে বিদায় পাইয়া স্বদেশাভিমুখে চলিয়া গেলেন, দিনের ধুমধাম শেষ হইল। রজনীতে জাহাঙ্গীর নজি'হানের নিকট যাইয়া হাস্য করিয়া কহিলেন-করণ কখনও সম্রাটের সভা দেখে নাই, সেই জন্য লজ্জাশীল ও সব্বদা নতশির। লাবণ্যময়ী নজি'হান তাহার একটী সাধার হাসি হাসিয়া পতির দিকে আয়তনয়নে দটি করিয়া কহিলেন;–সম্রাট, তাহা নহে, আমাদের সৈন্যবলে মেওয়ার অধীন হইয়াছে, কিন্তু চিরসবাধীন শিশোদীয়দিগের এখনও অধীনতা অভ্যাস হয় নাই । নাজি'হানের কথা যথার্থ। অমরসিংহ প্রতাপসিংহের পত্র, অধীনতা সহ্য করিতে পারিলেন না। সুলতান কুমা যখন দিল্লীশ্বরের ফমান দিতে আসিলেন, অমরসিংহ তাহা গ্রহণ করিতে পারিলেন না। সুলতান কুম মানসিংহের ভাগিনেয়, রাজপত মাতার পত্র, তিনি রাজপতের উচিত সম্মান জানিতেন। তিনি অমরসিংহকে বলিয়া পাঠাইলেন—আমি কেবল মহারাণার বন্ধত্ব চাহি, আর কিছু চাহি না। মহারাণা আপন রাজধানী হইতে বাহিরে আসিয়া কেবল দিল্লীশ্বরের ফমান গ্রহণ করন, আমি মেওয়ার প্রদেশ হইতে মুসলমান-সৈন্যসামন্ত বাহিরে লইয়া যাইব। বিজিত রাজাকে কেহ এরপে সম্মান করে না। তথাপি মহারাণা বিজিত, এক্ষণে দিল্লীশ্বরের ফমানবলে দেশ শাসন করিতে হইবে, একথা অমরসিংহ মনে স্থান দিতে পারিলেন না। তিনি পিতার নিকট যে সত্য করিয়াছিলেন, তাহা স্মরণ করিলেন, ফমান গ্রহণ করিতে পারলেন না। অমরসিংহ আপনার যোদ্ধাদিগকে রাজসভায় আহবান করিলেন। চোহান ও রাঠোর, ঝালা, প্রমর ও শিশোদীয়, সকলে রাজসভায় উপস্থিত হইলেন । তেজসিংহ উপস্থিত হইলেন; তাঁহার বয়ঃক্রম এক্ষণে পঞ্চাশং উত্তীণ হইয়াছে, কিন্তু শরীর পর্বোবৎ দীঘ, ঋজ ও বলিষ্ঠ। তাঁহার পাশ্বে তাঁহার বালক গজপতিসিংহ* পিতার বীয্য অনুকরণ করিতে শিখিতেছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে পিতামহের নাম রাখিতে শিখিতেছিলেন। দত আসিয়া নিবেদন করিল, রাজধানীর দ্বারদেশে সুলতান কুমা উপস্থিত আছেন, মহারাণা যাইলে ফমান দান করিয়া দিল্লী প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবেন। সভাস্থ সকলে নিস্তব্ধ, নিব্বৰ্গক। অনেকক্ষণ পর সমস্ত যোদ্ধার সম্মুখে অমরসিংহ পত্রে করণের ললাটে রাজটীকা দিলেন। কহিলেন-প্রতাপসিংহের পত্র পিতার নিকট যে অঙ্গীকার করিয়াছিলেন, তাহা বিস্মত হইবেন না, অধীনতা স্বীকার করিয়া রাজ্য করবেন না। যবেরাজ অদ্য হইতে রাজা হইলেন, আমি বদ্ধ, বানপ্রস্থ অবলম্বন করিলাম। সেইদিন (খঃ ১৬১৬) অমরসিংহ রাজধানী উদয়পর ত্যাগ করিয়া নচোকী নামক স্থানে যাইয়া বাস করিলেন। তাহার পর তিনি পাঁচ বৎসর জীবিত ছিলেন, কিন্তু আর রাজধানীতে প্রবেশ করেন নাই, রাজদণ্ড গ্রহণ করেন নাই।

  • ষাঁহারা গজপতিসিংহের কথা জানিতে চাহেন, তাঁহারা “মাধবীকঙ্কন” আখ্যায়িকা পাঠ কাঁরবেন।

○ミも