পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मझनाच्ने হেম । না, খোকার ৫। ৭ দিন থেকে রাত্রে একটা গা গরম হয়, তা আমি কাজ কাটোয়া cथएक खेषथ अट्न थाGब्राझि, आछ ७को छाल आट्छ। স্বাশুড়ী। বেশ করেছ, বাছা বিন্দও ঐ রকম ছিল, কাহিল ছিল, মধ্যে মধ্যে জর হত। आश निर्मिनकोद्र इल, शश अभन भौद्र भाडाइज हर्ष, अषों बोली कनखाँकई छब्रॉन, আমি যতক্ষণ না ডেকে তাকে ভাত খাওয়াতেম, ততক্ষণ সে মুখটা তুলে একবার বলত না যে, জ্যেঠাইমা, ক্ষিদে পেয়েছে। জ্যেঠাইমা তার প্রাণ; আর বাপ মরে অবধি তার মার আর মন স্থির ছিল না, সতরাং বিন্দকে আর সন্ধাকে আমি যতক্ষণে খাওয়াতেম, ততক্ষণে খেত, যতক্ষণে পরাতেম, ততক্ষণে পরত। আমার উমাতারা যে, বিন্দও সে, আহা বেচে থাকুক, একবার আসতে বলো । হেম। হাঁ, আসবে বৈ কি। স্বাশুড়ী। এই পাজার সময় বিন্দর এল, আবার সেই দিনই চলে গেল; এবার প্রজার সময় ত তা হবে না। ঘরের মেয়ে, পাজার সময় ঘরে ৫ । ৭ দিন থেকে কাজকৰ্ম্ম করবে। আর কাজ কৰ্ম্ম ত এমন নয়, এই আমাদের ঠাকুর দশন করতে, বঝেলে কিনা, এই ৩ ৪ ক্রোশের মধ্যে ষত গ্রাম আছে, সব গ্রামের কি ইতর, কি ভদ্র সবাই আসে। তোমরা বাছা বাইরে থেকে এসে, বাইরে থেকে চলে যাও, ঘরের কাজ ত জান না। রাত তিনটের সময় হাঁড়ি চড়ে, বেলা তিনটে পয্যন্ত উননের জবাল নেবে না, তব ত কুলিয়ে উঠতে পারিনি! লোকই কত, খাওয়াদাওয়াই কত, তার কি সীমা পরিসীমা আছে ? হেম। তা আর আমি দেখিনি, প্রতি বছরই দেখছি। আপনার বাড়ীর প্রজার ধামধাম, এ সকলেই জানে। শ্বাশড়' । তা কি জান বাপ, বংশানুগত ক্রিয়াকমটা উনি না করলে নয়। তবে যদি টাকা না থাকত, সে আলাদা কথা। এই গ্রামে কি সকলেই পজা করে, এই তোমরা কি পজা কর, তা ত নয়, তার জন্য লোকে ত কিছর বলে না। তবে আমাদের পরিষোনক্রম থেকে এটা আছে, মল্লিকদের বাড়ীর একটা নাম আছে, এর চাকরিও আছে, কাজেই আমাদের না করলে নয়, এই জন্য করা। হেম । তা বটেই ত। কতক্ষণ পৰ্য্যন্ত হেমচন্দ্র এই মল্লিক বাড়ীর ইতিহাস, ধনের ইতিহাস, পাজার ইতিহাস, ধনপুরের ধনেশ্বরের বংশের গৌরব, মেয়ের গৌরব, তত্ত্বের গৌরব এই সমুদয় হৃদয়গ্রাহী বিষয়ে হৃদয়গ্রাহী বস্তৃতা সেইদিন সায়ংকালে শুনিয়াছিলেন, তাহা আমরা ঠিক জানি না। তবে এই পৰ্য্যস্ত জানি যে ক্ষণেক পর হেমচন্দ্রের (দৈনিক পরিশ্রমের জন্যই বোধ হয়) চক্ষ দটী একটা একটা মাদ্রিত হইয়া আসিতেছিল, এবং মধ্যে মধ্যে তিনি কথার পস্ট অর্থ গ্রহণ না করিয়াই, “তা বটেই ত”, “তা বৈ কি” ইত্যাদি শ্বাশুড়ীর সন্তোষজনক শব্দ উচ্চারণ করিতেছিলেন । রাত্রি এক প্রহর হইয়াছে, এমন সময় কম ঝম করিয়া শব্দ হইল ; ধনপরের ধনেশ্বর বংশের পত্রবধ ষোড়শবষীরা, হীরক-মাক্তা-বিভূষিতা রপোভিমানিনী উমাতারা ঘরে প্রবেশ করিলেন। উমাতারা অতিশয় গৌরবণা, মুখখানি কাঁচা সোণার মত, এবং তাহার উপর সবণ ও হীরকের জ্যোতি বড় শোভা পাইতেছে। মাথায় সন্দের চিক্কণ কালো চুলের কি সন্দের চিক্কণ খোঁপা, তার উপর কপালে জড়োয়া সিতির কি বাহার হইয়াছে! খোঁপায় সোণার ফলে, সোণার প্রজাপতি আর একটী হীরার প্রজাপতি ! হাতে পৈচা, যবদানা, মরদানা, আর জড়োয়া বালা, বাহতে জড়োয়া তাবিজ ও বাজার কি শোভা! পিঠে পিঠঝাঁপা দলিতেছে, কটিদেশে চন্দ্রবিনিন্দিত চন্দ্রহার! গলায় চিক, বকে সখের সাতনর মত্তোহার ! হাসিতে হাসিতে ধীরে ধীরে উমাতারা ঘরে প্রবেশ করিয়া বলিলেন, “ইস, আজ কি ভাগগি, না জানি কার মুখ দেখে উঠেছি!” হেমচন্দ্র। আমার ভাগগি বল; ভাগগি না হলে কি তোমাদের মত লোকের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয় ! উমা। হ্যাঁ গো হ্যাঁ, তা, নৈলে আর এই দশদিন এখানে এসেছি, একবারও দেখা করতে আস না ? তা যা হোক, ভাল আছ ত ? বিন্দ দিদি ভাল আছেন ? হেম। সে ভাল আছে। তুমি ভাল আছ ? も8○