পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्टप्रश्शू ब्रष्कबाबजाँ শরৎ । কিন্দদিদি, সেও তোমাদের জন্য ! তোমার জ্যেঠাইমা কাঁচা অবিগুলো খেতে বারণ , वकन ना ?” r হেম উচ্চ হাস্য করিয়া বলিলেন, “আর পরম্পরের গণ ব্যাখ্যার আবশ্যক কি, অনেক গণ বেরিয়ে পড়েছে! আমিও তোমাদের বাড়ী যেতেম, সন্ধাকে তথায় কখন কখন দেখতে পেতেম, তখন সন্ধা ৪ । ৫ বৎসরের ছোট মেয়েটী। সন্ধা ! ঘোষেদের বাড়ী যেতে মনে পড়ে ? সেখানে তোমার দিদি তোমাকে কোলে করে নিয়ে যেতেন, মনে পড়ে, শরৎকে মনে পড়ে ?” সন্ধা। শরৎবাবকে একটা একটা মনে পড়ে, দিদি আপনি পেয়ারা পেড়ে খেত, আমি পাড়তে পারতেম না, শরৎবাব আমাকে কোলে করে পেয়ারা পেড়ে খাওয়াতেন। হেমচন্দ্র তখন বিন্দকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমাদের সকলের খাওয়াদাওয়া হয়েছে ? শরং খেয়েছে ?” শরৎ। হাঁ, বিন্দ দিদি আমাকে ষেরপ কচি অীবের অম্বল খাইয়েছেন, সেরাপ কচি অবি কখনও খাইনি ! বিন্দর। কেন, নয় বৎসর পাবে যখন গাছে বেড়াতে, তখন ? শরৎ । হাঁ, তখন খেয়েছি বটে, কিন্তু তখন ত এমন রোধে দেবার কেউ ছিল না। বিন্দর। থাকবে না কেন ? রোধে দেবার তর সইত না, তাই বল। হেম। সাধার খাওয়া হয়েছে ? তোমার খাওয়া হয়েছে ? বিন্দ। সন্ধা খেয়েছে, আমি এই যাই, খাই গে। তুমি আর কিছর খাবে না ? হেম। না; তোমার জ্যেঠা মশাইয়ের বাড়ীতে যে খেয়ে এসেছি, আর কি খেতে পারি ? ষাও, তুমি যাও, খাওয়াদাওয়া কর গে, অনেক রাত্রি হয়েছে। বিন্দ রান্না ঘরে গেলেন। সন্ধা হেমচন্দ্রের জন্য এতক্ষণ জাগিয়াছিল, এখন রকের উপর একটা মাদর পাতিয়া শুইল, চিন্তাশন্যে বালিকা শইবামাত্র সেই শীতল নৈশ বায়তে ও শত্র বর্ণ চন্দ্রালোকে তৎক্ষণাৎ নিদ্রিত হইয়া পড়িল । সমস্ত তালপুকুর গ্রাম এখন নিস্তন্ধ এবং সেই সন্দের চন্দকরে নিদ্রিত। হেমচন্দ্র ও শরচ্চন্দ্র সেই রকে উপবেশন করিয়া অনেকক্ষণ কথাবাত্তা করিতে লাগিলেন । তালপুকুরের ঘোষ বংশ ও বসন বংশের মধ্যে বিবাহসত্রে সম্বন্ধ ছিল; হেম ও শরৎ বাল্যকালে পরস্পরকে জানিতেন ও প্রীতি করিতেন। এক্ষণে ক্ষণেক কথাবাত্তার পর হেমচন্দ্র, উন্নতহদয়, বন্ধিমান, ধীরপ্রকৃতি ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শরচ্চন্দ্রের অস্তঃকরণ বুঝিতে পারিলেন; শরচ্চন্দ্রও হেমচন্দ্রের উন্নত, তেজঃপণ অস্তঃকরণ জানিতে পারিলেন। এ জগতে আমাদিগের অনেক পরিচিত লোক আছে, মনের ঐক্য অতি অলপ লোকেরই সহিত ঘটে, সতরাং হৃদয়ের অনরপে লোক দেখিলেই হৃদয় সহসা সেই দিকে আকৃষ্ট হয়। হেমচন্দ্র ও শরচ্চন্দ্র যতই -কথাবাত্তা কনিষ্ঠ ভ্রাতার ন্যায় দেখিতে লাগিলেন, শরৎ হেমকে জোঠের ন্যায় ভক্তি করিতে লাগিলেন । তাঁহাদের পরস্পর কথোপকথন হইতে হইতে বিন্দন আহারাদি সমাপন করিয়া তথায় আসিয়া বসিলেন: সাধার মাথায় বালিশ ছিল না, সাপ্ত ভগিনীর মস্তকটা আপন ক্রোড়ে স্থাপন করিয়া তাহার গছে গুচ্ছ কেশগুলি লইয়া সস্নেহে খেলা করিতে লাগিলেন। অনেকক্ষণ কথাবাত্তার পর হেমচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন। “শরৎ, তুমি এবার 'এল. এর জন্য পড়ছ। ছয় সাত মাস পরই তোমাদের পরীক্ষা, পরীক্ষার డాగా కాగి శాణా శా శాకాశాడా! তার পর কি করবে করেছ ?” শরৎ। কিছুই স্থির নেই। আমার বি, এ, পৰ্য্যন্ত পড়তে ইচ্ছে। কিন্তু মা গ্রামে থাকেন। এই পরীক্ষার পর গ্রামে থেকে তিনি আমাকে বিষয়টা দেখতে বলেন । তা দেখা য়াক কি হয়, আমাদের বিষয়ও অতি সামান্য, বৎসরে সাত আট শত টাকার অধিক লাভ নেই, কোনও উপযুক্ত ့ ့ အဇ္ဇာ t> siဇ၊ মাও চাকরী স্থানে আমার সঙ্গে থাকবেন, এখানে লোকজন দেখবে । * হেম। তা যা হয় তোমার পরীক্ষার পর হবে। এই কয়েকমাস কলকেতায় থেকে মনোযোগ Q& O