পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नकाश्च লইয়াছে। বেশ করেছে! খুব করেছে! মেয়ের মত মেয়ে বটে। বেশ করেছে, আরও করবে। এ রকম মেয়ে না হইলে কি পরিষে জব্দ হয় ? বিন্দ হাসিতে হাসিতে জিজ্ঞাসা করিলেন,—তা গোপী জ্যেঠাই যা করলে, সে কি ভাল কাজ ঠাকুরমা ? ও রকম কাজে কি সংসারে সখ হয় ? ঠাকুরমা। ভাল আর কি ? এই সংসারে রীতি, চিরকাল এই হয়ে আসছে! সথে আবার কি ? নড়াইতে সুখ হয়, না বিয়েতে সুখ হয় ? যে যত কেড়ে নিতে পারে, মেরে ধরে বকে ঝকে যে যত আদায় করতে পারে। আমি ত সংসারে এই দেখি, তোরা বাছা লেখাপড়া শিখিছিস, কি ভাবিস জানি না। সন্ধা হাসিতে হাসিতে বলিলেন,-আচ্ছা ঠাকুরমা, দিদি ত হেমবাবকে সেবাটেবা করে, আর হেমবাবাও দিদির যত্ন করে। কৈ দিদি ত আদায় করতে শেখে নাই। ঠাকুরমা। ওলো, ওদের কথা বলিস কেন ? হেমবাবটী ত সন্ন্যাসী! আর বিন্দ চিরকালই একটা বোকাসোকা মেয়ে, ওদের কথা ছেড়ে দে। তা ওরকম বোকাসোকা ভাল মানুষ সংসারে কটা আছে ? আমি ত দেখি সংসারে প্রায়ই নড়াই, যে ভাল মানুষ হয় তারই সব্বনাশ। তা পর ষের কি বল ? তারা রোজকার করে, তাদের বিষয়সম্পত্তি আছে, তাদের আয় আছে, তারা পায়ের উপর পা দিয়ে বসে, আর বৌগলাকে দাসীর মত খাটাতে চায়। তা বৌগলা যদি একটা ধারাল না হয়, একটা ঝাঁঝাল না হয়, তোর জ্যেঠাইয়ের মত শক্ত না হয়, তা হইলে কেবল খেটে খেটে তাদের প্রাণটা যাক ? পরিষের নাথি ঝোঁটা খেয়ে থাকুক ? কেমন? তাই বলি বাছা, একটা ধারাল হবি, একটা ঝাঁঝাল হবি, একটা শক্ত হবি। তাহলে মানে মানে থাকবি, আদায় করতে শিখবি, কাপড়খানা, গহনাখানা, টাকা ও প্রভুত্বটা আদায় করবি। পরষকে ভয়ে ভয়ে রাখবি, পরষের গতর খাটিয়ে আদায় করে নিবি, তবে ত বলি মেয়ের মত মেয়ে। আদায় করতে শিখবিনি ত মেয়ে জন্ম নিয়ে এসেছিলি কেন ? বিন্দ। ঠাকুরমা, আদায় করতে গিয়ে যদি সব নোকসান হয় ? ঠাকুরমা। যে রাঁধতে জানে তার হাতে কি বেন্নন খারাপ হয় ? বিন্দ । ঠাকুরমা, এই বয়সেই আমি কত নোকসান দেখলাম! কত পরিবার ঝগড়াঝাঁটি করিয়া মশানের মত হয়ে গিয়েছে। স্বামী কিংবা সত্রী একটা সহ্য করিলে সোণার সংসার থাকিত, কিন্তু সেইটুকু সহ্য না করিতে সংসার-সুখ গোল্লায় গিয়াছে। অধিক আদায় করিতে গিয়া সব নোকসান হইয়াছে, ঠাকুরমা, শেষে যে আদায়ের চেষ্টা করিয়াছিল সেই মাথায় হাত চাপড়াইয় 亿该日 ঠাকুরমা ও লো, সে রদিনীর দোষ। বলি, ঐ যে এক একটা রাঁদনী বেন্ননে জেয়াদা নন দিয়ে ফেলে—তাই বলে কি নতুন না দিলে রান্না হয় ? তুই ত একজন ভাল রাঁদনী, কৈ নতুন না দিয়ে কেবল মিছরি দিয়ে সব বেন্ননগুলো রাঁধ দেখি ? प्रभञ श्रृंब्रिटझक्न : क्षिम्न अञाध्यान्न রাত্রি প্রায় আটটার সময় শরচ্চন্দ্র বাটী আসিয়া পাহছিলেন। তাঁহাকে দই বৎসর পর দেখিবার জন্য আজ বাড়ী লোকে পণ । হেমচন্দ্র এতদিন পর ভ্রাতৃসম শরৎকে আলিঙ্গন করিয়া যথার্থই আনন্দ লাভ করিলেন। অন্যান্য বয়স্য বন্ধগণও শরৎকে সানন্দে অভিবাদন করিলেন। গ্রামের বদ্ধগণ (যাঁহারা শরচ্চন্দ্রকে একঘরে করিতে অগ্রগামী ছিলেন), তাঁহারা উচ্চপদাভিষিক্ত বহনক্ষমতাশালী যুবককে “বাবাজি" “বাবাজি" বলিয়া বড়ই প্রীতি, স্নেহ ও যত্ন দেখাইলেন। শরৎ সকলকে সম্মানিত করিয়া মার ঘরে গেলেন। ভূমিষ্ঠ হইয়া স্নেহময়ী মাতাকে প্রণাম করিলেন। শক্লেকেশী শত্রবসনা বন্ধা সজল নয়নে পত্রের শিরশচুম্বন করিয়া আশীব্বাদ করিলেন । অনেকক্ষণ মাতার কাছে বসিয়া মাতার কুশলবাত্তা জিজ্ঞাসা করিলেন। শরতের মাতা সংসার হইতে প্রায় অবসর লইয়াছেন, সংসারের কাজকর্ম কিছ দেখেন না। প্রাতঃকালে স্নান করিয়া দ্বিপ্রহর পয্যন্ত পজা-আহ্নিক করেন, তৎপর কিছ জলগ্ৰহণ করিয়া বিশ্রাম করেন। সন্ধ্যার সময় আবার অাহিক করিয়া নিরামিষ ভোজনান্তর শয়নগহে প্রবেশ করেন। مساحهمه 88