পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* и я у г * o x *. w by or r * * - i - DD DS BBBBSBBBB DBBB BBBBBS DDBB BBBS BBBBB DDBBD ঐক্যসাধন করিবার যত্ন করিতেছেন । তাঁহার পবিত্র জীবনের সেই পবিত্র উদ্দেশ্যসাধন করিবার -চেস্টায় অদ্য তিনি বিপদ, ক্লেশ ও মিথ্যা কলঙ্কে পতিত হইয়াছেন। আমি রমাপ্রসাদকে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাবরপে সন্মান করি,—তাঁহার উন্নত চরিত্রে দোষ, কলঙ্ক ও অপরাধ স্থান পায় নাt এই পর্যন্ত প্রমাণ লিপিবদ্ধ করিয়া মাজিস্ট্রেট সাহেব কলম ফেলিয়া দিলেন,—তিনি ব্যগ্রস্বভাব, কিন্তু হৃদয়শন্য নহেন। মস্টিম্বারা সজোরে টেবিলে আঘাত করিয়া রোৰে গজিয়া বলিলেন,--এই দেবতুল্য মনুষ্যকে পিশাচ বলিয়া প্রমাণ করিবার জন্য কামিনীবাব ষড়যন্ত্র করিয়াছেন ? এই উন্নতহদয় দেশহিতৈষীকে ধনংস করিবার মানসে গোপবালা দরখাস্ত করিয়াছেন ? অামাদের সন্ট আদালত কি মিথ্যা, শঠতা, প্রবঞ্চনার রঙ্গভূমি হইয়াছে ? আমাদের গঠিত পুলিশ কি জমিদারদিগের অত্যাচারের উপায়সবরপে হইয়াছে ? রমাপ্রসাদ! কল্য আমি তোমাকে মহা অপরাধে অপরাধী মনে করিয়াছিলাম, অদ্য আমি আমার ভ্রম বুঝিলাম। তুমি নিন্দোষী, উন্নতচরিত্র, পরোপকারী ও ধৰ্ম্মপরায়ণ! তোমার ন্যায় অধিক লোক থাকিলে তোমাদের দেশ এত হতভাগ্য হইত না! তোমাকে খালাস দিলাম, এবং তোমার নামে যে মিথ্যা দোষারোপ করিয়াছে, তজন্য তুমি নালিশ করিতে পার। –বিচারপতি ! আপনার সবিচারজন্য ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করবেন,—কিন্তু আমার আর একটী বক্তব্য আছে। মাজিস্ট্রেট। কি ? রমাপ্রসাদ। সাক্ষীরা বলিয়া গিয়াছে, ত্রিংশৎ বৎসর পাবে ঐ কামিনীকান্ত একটী হাঙ্গামা করিয়া তাঁহার ভ্রাতা রমণীকান্তকে খন করিয়াছে। তাহার বিচার এখনও হয় নাই! মাজিস্ট্রেট। ত্রিংশৎ বৎসর পর্বের ঘটনাও অদ্য বিচার হইতে পারে। কিন্তু তাহার প্রমাণ এখন কি আছে ? তাহার সাক্ষী এখন কয়জন আছে ? রমাপ্রসাদ। হাঙ্গামার প্রমাণ যথেষ্ট আছে। কিন্তু ভ্রাতৃবধ-স্বরপে ভয়ঙ্কর পাতক হইতে স্বয়ং জগদীশ্বরই কামিনীবাবকে অব্যাহতি দিয়াছেন! রমণীকান্ত সে হাঙ্গামায় আহত হয়, কিন্তু প্রাণে মরে নাই! তিনজন দ্বারবান রমণীকান্তের মতবৎ দেহ সরাইয়া ফেলে, পরে রমণীকান্ত চৈতন্য পাইলে তাহাকে লইয়া পশিচমদেশে পলাইয়া যায়। সে তিনজন দ্বারবান পশ্চিম হইতে আসিয়াছে—হীরা সিং, লাল সিং ও জওহর সিং, ঐ দাঁড়াইয়া আছে— কামিনীবাব বোধ হয় তাহাদের চিনিতে পারবেন। আর (কামিনীবাবরে দিকে তীব্রদটি করিয়া মস্তকের জটা সরাইয়া, সন্ন্যাসী সিংহনাদে বলিলেন), সে রমণীকান্ত এখনও জীবিত আছে, কামিনীবাব ভাল করিয়া দেখিলে বোধ হয় তাঁহার ভ্রাতাকেও চিনিতে পারবেন। দেখিলেন, তাহার প্রচণ্ড মৃত্তি দেখিলেন,-সেই ক্রুদ্ধস্বভাব বালক আজি মহাবলে বলিষ্ঠ বীরপরষ হইয়া বৈরনিৰ্য্যাতন করিতে আসিয়াছেন! কামিনীবাব নিশ্চেন্ট হইয়া পড়িয়া গেলেন,—লোকে ধরাধরি করিয়া জমিদারবাবকে বাহিরে লইয়া গেল। কাছারীতে একটা মহা গণ্ডগোল হইয়া উঠিল! সে গোল থামাইয়া মাজিস্ট্রেট সাহেব বলিলেন–রমাপ্রসাদ ! তুমিই রমণীকান্ত ? কামিনীবাব তোমাকেই বাল্যকালে খন করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন ? সে বিষয়ে অভিযোগ কর, প্রমাণ লইয়া আইস-ইংরাজ শাসনাধীনে তুমি সুবিচার পাইবে—আমি নিজে তোমার অভিযোগ তদন্ত করিব। অজটাবিংশ পরিচ্ছেদ ঃ কাঁচ অেিবর অম্বল ও চিনিপাতা দধি বিচারগাহের বাহিরে সেদিন কিরাপ গোলমাল, কিরুপ আন্দোলন, কিরুপ “মহারাণীর জয়”, “বড়লাট এলগিন সাহেবের জয়” প্রভৃতি শব্দ হইতে লাগিল তাহা বৰ্ণনা করিতে আমরা অক্ষম। জটাধারণীবেশে রমণীকান্ত জমিদারকে দেখিবার জন্য লোক ভাঙ্গিয়া আসিল, হাইকোটের উকিল চন্দ্রনাথবাবকে দেখিবার জন্য মহা ভিড় হইল, মৈমনসিংহের জয়েন্ট মাজিস্ট্রেট শরৎকে 8げ6 。