পাতা:রশিনারা.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పెs রশিনার । গোলাবী তখন হতাশ হইয়া তথা হইতে গমন করিয়া দুর্গবাসিগণকে স^বাদ দিল । রাজার অমঙ্গলবাৰ্ত্ত শ্রবণ করিয়া ঘে যেখানে ষে ভাবে ছিল, সকলেই উৰ্ব্বশবাসে কক্ষ্যাভিমুখে প্রথাবিত হইল । অনন্তর পরিচারিক রশিনারার নিকটে উপস্থিত হইয়। চক্ষের জল ফেলিতে ফেলিতে সমুদায় বিষয় নিবেদন করিল। বাদশাহনন্দিনী দাসীর মুখে শিবঞ্জীর বিপদ শুনিয়া নিসপন্দের ন্যায় হইলেন । মুখের ভাব বিকৃত হইল, চক্ষুঃ বারিভরাফ্রান্ত হইল, মস্তকে যেন আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল, হৃদয়ের প্রজবলিত অনলে যেন ঘৃতাহুতি পড়িল । তখন তিনি রোদন না করিয়া স্থির থাকিতে পারিলেন না । মনে মনে আত্মকর্ম সকল আন্দোলন করিতে লাগিলেন ; ভূতপূৰ্ব্ব বৃত্তান্ত সকল স্মৃতিপথে উদিত হওয়াতে অনুতাপজনিত কষ্ট ভোগ করিতে লাগিলেন । রশিনারা, তুমি বুদ্ধিমতী, পরিণামদশিনী। এ কথা আমি কেন ? বোধ হয়, পাঠক মহোদয়গণও অস্বীকার করিতে পারিবেন না। তুমি সকল বিষয়ই বিজ্ঞের ন্যায় সিদ্ধান্ত করিয়াছিলে ; কিন্তু একটি কর্মে তোমার বিবেচনার জুটি অাছে। সে কি কর্ম : শিবঞ্জীর সহিত প্রিয়সম্ভাষণ । এ কথায় তোমার যদিও আপত্তি থাকুক, কিন্তু তাহা অামাদের চিত্রগ্রাহ্য নহে । কেননা, বিবেচনা করিয়া দেখ, যদি আজি শিবঞ্জীর প্রাণবিয়োগ হয়, বা কালে তুমি তাহার চক্ষুরন্তরে অবস্থিতি কর, তখন তোমার মন ইহা বলিয়া অবশ্যই রোদন করিবে,— অনুতাপে জলিবে, ৰে, “ কেন আমি মনে মনে অনুরাগিণী