পাতা:রশিনারা.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুগ্ন-শয়নে । : : রশিনার। রোগীর শরীরে হস্ত প্রদান করিয়া কছিলেন, * গা যেন ঘামিতেছে । * চিকিৎসক গুনিয়া মুখোত্তোলন করিয়া সহাস্যমুখে কহিলেন, * গা ঘামিতেছে ? তবে জ্বরত্যাগের আর বিলম্ব নাই । ” রশিনারা একখানি রুমাল লইয়া অতি সাবধান-হস্তে মহারাষ্ট্রপতির শরীরের স্বেদ মুছাইতে লাগিলেন। ভিষকংঃ মুহুমু হুঃ মহৌষধ সকল বিধিমত প্রয়োগ করিতে আরম্ভ করিলেন। জবরের প্রাবল্য ক্রমে হ্রাস হইয়া আসিল, তৎসঙ্গে প্তাহার অলপ অলপ চৈতন্যের উদয় হইতে লাগিল দেখিয়া fভষক কহিলেন, “ এক্ষণে আর বসিয়া থাকার আবশ্যক নাই ; ঔষধও যৎপরোনাস্তি খাওয়ান হুইয়াছে, আজি আর ঔষধ-সেবনের প্রয়োজন নাই । রাত্রিও শেষ হইয়া আসিল, ক্ষণকাল পরেই সম্পূর্ণ চৈতন্য হইবে । ” এই বলিয়া চিকিৎসক চলিয়া গেলেন । - প্রভাতের কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে শিবঞ্জী চক্ষুরুন্মীলন করিলেন । এবং দেখিলেন, তাহার শিওরে বসিয়া রশিনার স্বহস্তুে উহাকে ব্যঞ্জন করিতেছেন ; গোলাবী নিঃশব্দে পদসেবা করিতেছে ; অপর কিঙ্করীগণ গাত্রে হস্ত-মাজঞ্জন, আহত-স্থানে ঔষধলেপন ইত্যাদি পরিচর্য্যায় নিযুক্ত আছে । পাশ-ফেরার ক্ষমতা নাই, সৰ্ব্বাঙ্গে বিষম বেদন । রশিনারা দেখিলেন, শিবঞ্জী যেন মনে মনে কি কথা কহিতেছেন । তন্মধ্যে কেবল একটি কথা বুঝিতে পারিলেন,—

  • রশিনার। ” রশিনার অতি মৃদুস্বরে কছিলেন, “ তুমি কথা কহিতে