রুগ্ন-শয়নে । 2 ఈ రి শিবঞ্জীও সেই জন্য হাসিলেন । রশিনারার মলিন মুখ প্রফুল্ল করিবার জন্য যত দূর সাধ্য যতন করিলেন। যজ্ঞ বিফল হইল না। তিনি অতি কষ্টে ঈষৎ হাস্য সহকারে মৃদু স্বরে কহি লেন, -
- রশিনার, অামার শরীরে আর কোন যন্ত্রণ নাই ; তুমি দুঃখিত হইও না । ” * -
রশিনারা শুনিয়া ঈষদ্ধিকসিত মুখে কছিলেন, “তাইত। ” রশিনারাকে হাস্যমুখী দেখিয়া শিবাজী সেই মৃত্যু শয্যাকে কুসুম-শয্যার ন্যায় জ্ঞান করিতে লাগিলেন। • রশিনার আবার কছিলেন, “ আমার জন্যই তুমি এত যন্ত্রণ পাইলে । * শিবঞ্জীও মৃদু স্বরে কহিলেন, “তোমার জন্য প্রাণ দিতেও কষ্ট বোধ করি না । ” র । * তা যথার্থ। কিন্তু আমি যে, রশিনারা অার কছিলেন না । শিবজীও তৎপ্রতি মনোযোগ করিলেন না ; কছিলেন, “ প্রিয়ে ! অস্ত্রব্যবসায়ী বীরগণ এরূপ কত শত আঘাত সহ্য করিয়া থাকেন, আমি এ আঘাত পুনঃপুনঃ প্রার্থনা করি, এবং শুভসূচক বলিয়া স্বীকার করি ৷ ” রশিনারা শুনিয়া হাসিলেন । তাহ দেখিবামাত্র শিবঞ্জী আপনাকে বিগতক্লেশ বোধ করিতে লাগিলেন । ক্ষণকাল পরে রশিনার সহাস্য-মুখে কহিলেন, “ এরূপ অকুশল কামনাত কেহই করে না। যন্ত্রণ পাইতে কে ইচ্ছা করে ? ?? - . fশ “ রোগে যার সুখ হয়, সেই ইচ্ছা ਬੀ 9%
