পাতা:রশিনারা.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a s রশিনার । জীবিতাবস্থায় আছেন, চৈতন্য প্রাপ্ত হইয়া সেনাপতি বিস্ময়াম্বিত হইলেন ; তখন পর্যন্তও যে তাঁহাকে শ্বাপদে গ্রাস করে নাই, ইহা ভাবিয়া তিনি বিস্ময়াপন্ন হইলেন। যুদ্ধের চারি পাচ দিন পরে হিমবর্ষা পৰ্ব্বততলে দৈবানুকুল্যে তিনি সংজ্ঞ প্রাপ্ত হইলেন । উঠিবার শক্তি নাই, শিঘড়ীর বিষম আসিপ্রহারে তাহার স্কন্ধ এবং হস্তুের অস্থি চ্ছেদিত হইয়া গিয়াছিল ; শরীরের শোণিত অধিক পরিমাণে নির্গত হওয়াতে এবং কয়েক দিবস অনশন জন্য একেবারে বলহীন হইয়াছিলেন । একে ক্ষতস্থানে বিষম বেদনা, তাহাতে জঠরানল প্রজবলিত হইয়া হৃদয় বিদীর্ণ করিতেছে; বিশেষ,গলিত শবের দুর্গক্ষে তথায় তিনি মুহূৰ্ত্ত কালের জন্যেও থাকিতে পারিলেন না । অতি কষ্টে সব্য হন্তে মৃত্তিক আশ্রয় করিয়া অতি মৃদুভাবে গমন করিতে লাগিলেন । সম্মুখে একটা নিবার বহমান ছিল, সহজ লোকে তথায় অতি শীঘ্রই গমন করিতে পারিত, কিন্তু, সেই নিবার স্থানে গমন করিতে র্তাহার অনেক সময় লাগিল । র্তাহার নিকটে মনুষ্য-ভক্ষণোপযোগী পক ফলভারাক্রান্ত কয়েকটি বৃক্ষ ছিল,—সে স্থানে ক্ষুধ-তৃষ্ণ নিবারণে কষ্ট হইবে না বলিয়া, সেনানী তথায় আপন বাসস্থান স্থির করিলেন। অনন্তর নির্বারের বিমল জল পান করিয়া কিছু সুস্থ হইলেন ; · অঙ্গের ক্ষতস্থান উত্তম রূপে ধৌত করিয়া মক্ষিকাদির দৌরাত্ম্য নিবারণ জন্য বস্ত্র ছিন্ন করিয়া তাহ আবৃত করিলেন । নিধিত্ব বনচ্ছিন্ন পৰ্ব্বত-তলে একাকী বাস করা সহজ কথা নহে । । সেনানী ; কখন ফল ভূপতিত হইবে, কখন তদ্বারা ক্ষুধ শাস্তি করিত্বের্নণ” এই রূপ চিন্তা করিয়া কোন মতে দিনাতিবাহি৮