পাতা:রশিনারা.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పి: 4 রশিনার । সেনানী নীরব হইলেন । অনেক ক্ষণ পরে তঁাহার মুখ হৰ্ষোৎফুল্প হইল। ভাবিলেন, “ আর চিন্তা কি ? প্রতিজ্ঞ প্রতিপালন করীর দিব্য উপায় পাইয়াছি । শাস্ত্ৰকারের কহিয়াছেন, যে, যেমন লোকের পদতলে কণ্টক বিদ্ধ হইলে তাহ অন্য কণ্টক দ্বারা বহির্গত করে, তদ্রুপ বুদ্ধিমানের শত্ৰুদ্ধার শত্ৰুকে হনন করিবেন। এক্ষণে দেখিতেছি, মহারাষ্ট্রকুঙ্গ-প্লানি শিবঞ্জাই আমার প্রধান বৈরী, এবথ যবনেরাও আমাদের শত্রু; ইহার শিবজীকে দমন করার জন্য বিশেষ যতন পাইতেছে, কেবল আমাদের জন্য এত কাল তাহার কিছুই করিয়া উঠিতে পারে নাই । আমি তাহদের সাহায্য করিলে, আমার অভিসন্ধি সিদ্ধ হইবে, তাহাদেরও চিরাভিলাষ—” ৰলিতে বলিতে তিনি শাহরিয়া উঠিলেন, হৃদয়ের মধ্যে বিদ্যুৎচকিতবৎ অন্তঃকরণ উল্লসিত হইতে লাগিল । মনোবৃত্তি সকল নিশ্চেষ্ট হইয়া পড়িল, পূৰ্ব্বাভিসন্ধি সকল উন্মলিত হইয়া গেল। আবার ভাবিলেন, * আমি কি এমনই নরধিম, যে, একের জন্য প্রিয় জন্মভূমিকে যকন-করে সমর্পণ করিব ? স্বঞ্জাতীয় অমূল্য স্বাধীনতা বিলুপ্ত করিব ? কোটিকল্প নরকে থাকা ভাল, তথাচ এক দিনের নিমিত্তও পরাধীন হওয়া পুরুষত্ব নহে। তবে এক্ষণে আমি করি কি ? তবে কি ভগ্নপ্রতিজ্ঞ হইব ? সেগুত মহাপাপ । ন কিছু দিন যবনের নিকট বন্ধুভাণ করিয়া অবস্থানপূৰ্ব্বক আত্মিকর্ম সাধন করিব ? শিবঞ্জীকে বধ করাই আমার উদ্দেশ্য, তাহদেরও সেই অভিপ্রায় । আমি কৌশলম্বার এ কর্ম সম্পন্ন করিব ; তাহাতে উভয় কুলই রক্ষা পাইবে। ”