পাতা:রশিনারা.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্রয়-গ্রহণে । S$3 ভূম্ভণ করিতেছে ; তৃষ্ণাকুলিত গাভীবৃন্দ দ্রুতগতিতে জলাশয়ের দিকে প্রধাবিত হইতেছে ; রাখালগণ বৃক্ষের শাখায় উপবিষ্ট হইয়া মনের আনন্দে গান করিতেছে । মাস্কাজী এই সমুদায় দেখিতে দেখিতে গমন করিতে লাগিলেন । মহারাষ্ট্র-সৈন্যাধিনায়ক সম্পূর্ণ অারোগ্য প্রাপ্ত হন নাই ; শরীরের বলাধান পূৰ্ব্বের ন্যায় ছিল না বলিয়া, প্রখর অরুণ-তেজে এবং পদব্রজে গমন জন্য একেবারে অধৈর্ষ হইয়া পড়িলেন । কিয়ংকাল চলেন, আবার কিয়ৎকাল বিশ্রাম করেন.: এইরূপে অনেক কষ্টে মোগল সেনাপতির শিবির-সন্নিকটে উপস্থিত হইলেন । - কয়েক জন শস্ত্রপাণি শিপাছী শিবিরের ইতস্তুতঃ ভূমণ করিয়া প্রহরীর কার্য্য করিতেছে । মোগল সৈন্যের স্কন্ধাবারে পদমর্যাদানুযায়ী চিহ্ন ছিল । মাঙ্কাজী . পট-মধুপের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উন্নত এবং বিবিধ শিল্পসম্পন্ন একটি শিবির দেখিয়া সেনানীর বাসস্থান বলিয়া অনুভব করিলেন ; এবং ধীরে ধীরে তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া প্রহরীকে বলিলেন, “ রক্ষিবর ! তুমি সেনাপতি মহাশয়কে বল, আমি উহার মইিত সাক্ষাৎ করিতে ইচ্ছা করি । ” - প্রহরী ওঁহাকে বসিতে বলিয়া শিবিরের মধ্যে গেল, অনতিবিলম্বে প্রত্যাগত হইয়া কহিল, “ আসুন । ” - মাঙ্কাজী শিবিরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, শাইস্কা খাঁ বহুমূল্য পরিচ্ছদ দ্বার সুসজ্জিত হইয়া মছনদে বসিয়া আছেন, দুই চারিটি মোসাহেব নিকটে উপস্থিত থাকিয়