পাতা:রশিনারা.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 - রশিনার। শা। “ তবে বুদ্ধির স্থিরতা কর ” পী । ( ক্ষণকাল ভাবিয়া ) এক্ষণে এদোষ সংশোধিত হওয়ার এক মাত্র উপায় দেখিতেছি । আমাদের যে সকল সৈনিক মহারাষ্ট্ৰীয়ের সমভিব্যাহারে গমন করিয়াছে, তাহাদের নিকট দুত প্রেরণ করা যাউক, তাহারা দুষ্টের সহিত যে পথ দিয়া দুর্গে গমন করিবে, তাহ জানিয়া সে অনতিবিলম্বে অামাদের সAবাদ দিলে আমরাও আবশ্যক মত সৈন্য সজ্জা করিয়া তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ দুর্গে প্রবেশ করিব। এইরূপ করিতে পারিলে বোধ হয়, দুষ্টের অধিসন্ধি বিফল হইলেও হইতে পারে ।” শাইস্তা খা শুনিয়া মহা আহলাদত হইয়া কহিলেন, তুমি “ সৎপরামর্শই স্থির করিয়াছ। ” অনন্তর জনৈক অনুচরকে ডাকিয়া অভীষ্ট স্থানে পাঠাইয়া দিলেন । পরে সুর্য্যাস্তের পর আপনারাও সসৈন্যে গমন জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলেন । পঞ্চম পরিচ্ছেদ । পুনর্মিলনে । ঘে দুৰ্গম উপত্যক হইতে শিবঞ্জী রশিনারীকে হরণ করিয়া আনেন, সেই স্থান যে মহাবনাকীর্ণ এবং উন্নতাৰুনত, তাহা পাঠক মহাশয়ের স্মরণ হইতে পারে । মাস্কাঞ্জী মোগল সেনাবঙ্গ-সমভিব্যাহারে সেই ভয়ানক স্থানে বাস করিতে লাগিলেন । যে গুরুতর কার্য্য সাধন করিতে পতিজ্ঞ করিয়াছিলেন,