পাতা:রশিনারা.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పిఫిసి রশিনার) । পরেই পৰ্ব্বতের উপরিভাগ হইতে একটি দোলা অবতারিত হইল । সেনানী তদবলম্বনে দুর্গে উত্তীর্ণ হইলেন । সেনাপতিকে পুনৰ্জ্জীবিত দেখিয়া দুর্গস্থ সকলেই বিস্ময়াস্থিত হইল। পরে সকলের প্রশনানুসারে উত্তর দান করিয়া শিবঞ্জীর সদনে উপস্থিত হইলেন । শিবঞ্জী তখন, রশিনারার সহিত কথোপকথনে ছিলেন ; সেনানী তাহার আগমন-বাৰ্ত্ত জানাইলে মহারাষ্ট্রপতি একেবারে বিস্ময়সাগরে মগ্ন হইলেন ; এবং কৌতুক বশতঃ র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করার জন্য বাহির হইলেন । আসিবার সময়ে মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন, “কি আশ্চর্ঘ্য ! সে দুরাত্মাকে ন। সে দিন বধ করিয়াছিলাম ? তবে কেমন করিয়া সে প্রাণদান পাইল ? না, ভবানী তাহীকে রক্ষা করিয়াছেন ? পাপীর প্রতি যে দেবী সদয় হইবেন, এরূপত কখনই সম্ভাবিত নহে ? তবে কি মৃত্যুসঞ্জিবনীর আমুণে সে প্রাণ পাইল : হবে : নানাবিধ ঔষধ-পরিপূর্ণ পৰ্ব্বত-স্থলীতে কিছুই বিস্ময়াবহ নহে ৷ ” এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে খাস্কামরায় উপস্থিত হইলেন । এবণ দেখিলেন, মাস্কাজী দণ্ডায়মান রক্টিয়াছেন । অনস্তর সকৌতুকে কহিলেন, “ বল মাস্কার্জী, তুমি কিরূপে জীবিত হইলে ? * * সেনানী তখন উীহার চরণতলে পতিত হইয়া সকাতরে কহিলেন, মহারাজ ! যেমন কর্ম তেমনি কল পাইয়ছি । পাতকিগণ দেহাস্তে নরক-ভোগ করে, তাহা অামি সশরীরে ভোগ করিয়াছি। এক্ষণে আমার অপরাধ মাৰ্জ্জন করিতে আজ্ঞা ইউক ৷” - শিবঞ্জী বীৰ্য্যবস্ত সেনানীকে আন্তরিক স্নেহ করতেন।