পাতা:রশিনারা.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Sa রশিনীর । বাত্যার সহিত মহাবেগে বৃষ্টি পড়িতে লাগিল । যেমন বৃষগণ মস্তকোপরি বৃষ্টিধারা-পতন সহ্য করিয়া অবনত শিরে গমন করে, আমিও সেই রূপ ধারাপাত মস্তকে ধারণ করিয়া যাইতে লাগিলাম । মহারাজ !—” বলিতে বলিতে সেনানীর শরীর লোমাঞ্চিত হইল। “ বিপদের উপর বিপদ ঘন ঘন মেঘগৰ্জ্জন, তৎসহ বজ্রপতন-শব্দ, প্রবল ঝটিকাঘাতে বৃক্ষাদি ভগ্ন এবও পরিচালন-শব্দ,-এত ভীষণ শব্দেও আমি ভীত হই নাই । আমার পশ্চাৎ যে এক ভয়ঙ্কর শব্দ হইতেছিল, তাহাতেই অামার হৃদয় কঁাপিতে লাগিল । তাহার কারণানুসন্ধান জন্য একবার মুখ ফিরাইলাম, কিন্তু কিছুই দেখিতে পাইলাম না ; কেবল সেই শব্দই ক্রমে নিকটাগত হইতে লাগিল । তখন, সভয়ান্তঃকরণে দ্রুত পদবিক্ষেপে চলিতে লাগিলাম, পদে পদে আরণ্য লতায় গতিরোধ করিতে লাগিল, কিন্তু তাহা তৃণ জ্ঞান করিয়া যাইতে লাগিলাম, শব্দও পূর্ববৎ দ্রুত গতিতে আমার অনুসরণ করিতে লাগিল ৷ ” পরে কইিলেন, ** মহারাজ । সেই ভৈরব শব্দ যতই নিকটস্থ হইতে লাপিল, আমিও তত উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িলাম ; অনেক . কষ্টে, অনেক পরিশ্রম করিয়া বনপথ উত্তীর্ণ হইয় প্রান্তরে উপস্থিত হইলাম। পশ্চাতের শব্দ যেন আরও নিকটস্থ হইল, তখন ভয় প্রযুক্ত আর একবার মুখ ফিরাইয় বিদ্যুদামসঙ্কুরিতালোকে দেখিতে পাইলাম,—” (সেনানী শাহরিয়া উঠিলেন । ) “ মহারাজ ! কি বিকটাকার যুৰ্ত্তি একটা তাল বৃক্ষের ন্যায় মহাকায় পুরুষ দীর্ঘ দীর্ঘ পদ-সঞ্চালনে, আজানুলস্থিত ভুঞ্জস্বয় দোদুল্যমান করিতে, করিতে আমার দিকে