পাতা:রশিনারা.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দগাক্রমণে । ٤٦ ہی ہے বধ করিবেন ’—বলিতে বলিতে রশিনার রোদন করিয়া উঠিলেন । শিবজী ও রোদন করিতে , করিতে কহিলেন, “ আমি কেমন করিয়া তোমার বিরহ-জনিত কষ্ট ভোগ করিব ? ” রশিনারা কিয়ৎক্ষণ নীরবে থাকিয়া পরে শিবঞ্জীর করে কর স্থাপন করিয়া কহিলেন, “ প্রিয়বর ; ভুনি নিশ্চয়ই জানিও, যে, রশিনার তোমার ভিন্ন আর কাহারও নহে ; আমি যেখানেই কেন থাকি না, তোমারই রছিলাম । আর যদি পোড়া অদৃষ্টের গুণে ”—এই বলিয়া তিনি রোদন করিতে লাগিলেন । ক্ষণকাল পরে চক্ষের জল মুছিয়া কছিলেন, “যদি আর কখন তোমার সহিত সাক্ষাৎ না হয়, তবে এ জীবন তোমার ঐ চরণ ধ্যান করিয়া অতিবাহিত করিবে ! প্রিয়তম —ঐ শজুকোলাহল নিকটবৰ্ত্তী হইল ; যাও পলাও, আমার অনুরোধ রাখ ; ” . - শিবঞ্জী তখন অতি বিমৰ্ষভাবে সকরুণ-স্নেহ-ব্যঞ্জকপূরিত-লোচনে রশিনারার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া এমনি ভাবে দুর্গ পরিত্যাগ করিলেন, যে, মোগলের তাহার বিন্দু-বিসর্গও জানিতে পারিল না । ধ্বংসাবশিষ্ট সৈন্য-সামন্ত এবং দাসদাসীগণ, কেহ কেহ বা শিবঞ্জীর সহিত, কেহ কেহ বা উপায়ান্তর অবলম্বন করিয়া দুর্গ পরিত্যাগ করিল । তাহারা পলায়ন করিলে, যাহা যাহা ঘটিয়াছিল, তাহ পর পরিচ্ছেদে বিবৃত হইল ।