পাতা:রশিনারা.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 রশিনার) । য়াও জনপ্রাণীর সাক্ষাৎ পাইল না । তখন তাহার নিজ নিজ বিলুণ্ঠন কার্য্যে ব্যাপৃত হইল । অনন্তর আবুলফতে খ অনুচর-সমভিব্যাহারে অনেক অনুসন্ধানের পর রশিমারার কক্ষতায় গিয়া উপস্থিত হইলেন । তথায় দেখিলেন, একটি পরম সুন্দরী রমণী পলাঙ্কের উপরি উপবিষ্ট থাকিয়া রোদন করিতেছেন । আবুলফতে খাঁ তাহার পরিচ্ছদাদি দেখিয়া অনুভব করিলেন, তিনিই বাদশাহ-কন্যা । তখন তিনি তাহাকে অভিবাদন করিয়া নতশিরে কহিলেন,— মাত । আপনার বন্ধন-দশার শেষ হইয়াছে। যে দুরাত্মা আপনাকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছিল, সে কোথ! পলায়ন করিয়াছে। আসুন, সেনাপতি আপনার দিল্লী-গমন-যোগ্য যান-বাহন প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন । ” রশিনারা অার একাকিনী দুর্গে থাকিয় কি করিবেন ; মন্তকে অবগুণ্ঠন দিয়া আবুলফতে খাঁর সহিত সেনানীর নিকট উপনীত হইলেন । . - রশিনারার আগমনের কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে কয়েকটি মোগল সৈনিক মাস্কাঞ্জীর হস্তপদ শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া শাইস্তা খার নিকটে উপস্থিত করে। তাহার মূৰ্ত্তি ভয়ঙ্কর ; মনোদুঃখে নয়নদ্বয় হইতে অজস্র বারিধার। বিগলিত হইতেছে ; নাসারন্ধু ক্ষণে ক্ষণে বিসফারিত হইতেছে, দশন দ্বারা অধর দ°শন করিতেছেন । কাহার দিকে দৃকপাতও নাই । দর্শকগণ তাঁহাকে বেষ্টন করিয়া দণ্ডায়মান রছিয়াছে । শাইন্তু খাঁ কছিলেন,— “ ওরে কাফের ! মনে করিয়াছিলি, মামাকে ঠকাইবি ; কেমন এখন তোর চতুরতা কোথা গেল ? ”