পাতা:রশিনারা.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>3等 রশিনার। যে কোথা হইতে হঠাৎ রামদাস স্বামীর কুটীরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, তাহার বাকপমাত্রও যবনের জানিতে পারিল না । রামদাস স্বামী স্বীয় কুটীরে কুশাসনোপরি উপবিষ্ট হইয়া ধ্যানে মগ্ন রছিয়াছেন । শিবঞ্জী যোড়হন্তে তাহার নিকট দণ্ডায়মান থাকিলেন । অনেক ক্ষণ পরে রামদাস স্বামী নয়নোক্ষীলন করিলেন ; তখন শিবঞ্জী ভক্তিভাবে গুরুপদে প্রণাম করিয়া কিছু অন্তরে উপবিষ্ট হইয়া অধোবদনে চিন্তা করিতে লাগিলেন । রামদাস স্বামী তখন কছিলেন, “ বৎস ! শুনিলাম যবনের তোমার দুর্গ জয় করিয়াছে। এ ত চিন্তার বিষয়ই বটে ; কিন্তু যাহা হইয়া গিয়াছে, তাহার জন্য ক্ষুন্ন হওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। তুমি যে গুরুতর কার্য্যক্ষেত্রে পদাপণ করিয়াছ, তাহাতে পদে পদে বিঘ্ন হইবার সম্ভাবনা । তাহ বলিয়াই কৰ্ত্তব্য কর্মে উদাসীন হওয়া উচিত নহে । যে ব্যক্তি কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয় বিঘ্ন দর্শনে পরাভূমুখ হয়, সে অধম পুরুষ ; যে ব্যক্তি সৎকর্মে অগ্রসর হইয়া দুই তিন বার যতন করিয়াও অনুষ্ঠিত বিষয় সুসাধ্য করিতে পারে নাই, কিন্তু ইচ্ছা আছে, সময় পাইলেই পুনবার যতন পাইবে, এরূপ ব্যক্তি মধ্যম পুরুষ ; আর যে ব্যক্তি প্রতিজ্ঞ, উদ্যম এবং অধ্যবসায় দ্বারা বারম্বার অবসন্ন হইয়াও যতন সুচারু রূপে সুফলীকৃত করেন, তিনিই উত্তম পুরুষ । অতএব বৎস! তুমিও সেই উত্তম পুরুষ হইতে চেষ্টা কর, চেষ্টার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায় । ” শিবঞ্জী অধোমুখে থাকিয়াই উহার উপদেশ শুনিলেন, ভাল মন্দ কিছুই উত্তর করিলেন না । শিবঞ্জীর চিত্তক্ষেত্রে কেবল