পাতা:রশিনারা.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্ব্বত-জলে । তাহার ততোধিক বিলাপ করিতে লাগিল। বিলাপ না করিবে । কেন ? সন্তানবিয়োগে জনকজননী শোকসন্তাপে দগ্ধ হয়েন বটে, । কিন্তু তাঁহাদের প্রাণের কোন আশঙ্কা নাই ; রমণীর জন্য তাঙ্কা-১ : দের প্রাণের সমূহ আশঙ্ক,—ঘাতুকের কুঠারে নিশ্চয়ই প্রাণ বিনষ্ট হুইবে । অতএব, প্রাণ বঁাচাইবার উপায় নির্ধারণ করা : আবশ্যক হুইয়া উঠিল । ... .. বিলাপকারী সামন্তুদিগের মধ্যে এক জন অপেক্ষাকৃত পুস্থির" ছইয়া কহিল, “ কেন আর ক্ৰন্দন কর ভাই সকল ? " অরণ্যে রোদনে ফল কি ? এক্ষণে বিবেচনা কর, সকলেরই શ્વાર્કિંઠાগত, প্রাণরক্ষার উপায় উদ্ভাবন করা আবশ্যক হইতেছে-- বোধ হয়, প্রাণ হইতে প্রার্থনীয় বস্ত পৃথিবীতে আর কিছুই নাই । এক্ষণে কিসে প্রাণরক্ষা পায়, তাছার উপায় কর । * v তাহদের মধ্য হইতে আর এক জন কছিল, তুমি যথার্থ কথা কছিয়াছ ভাই । আমাদের প্রস্তু যেরূপ নিষ্ঠুর, তাছাতে কি কোন আপত্তি শুনিবেন ? এ স^বাদ শুনিবামাত্র তিনি আমাদের প্রাণবিনাশ করিবেন । * । অন্য অীর এক জন হতাশ্বাস হইয়া কহিল, “তোমর কেন আর অঙ্গীক জল্পনায় প্রবৃত্ত হইয়াছ ? এবার প্রাণ ৰুি আর বাঁচিবে ? ঐ স্তন, সিংহ, ব্যামু প্রভৃতি জন্ডগণ ঘোষ্ণুনাঙ্গে বিচরণ করিয়া ফিরিতেছে ; অংে উহাদের গ্রাস হইতে আপনাদিগকে রক্ষা কর, পরে অন্য উপায় করিও । আরও বলি, দসু্যগণের অসাধ্য কর্ম নাই, তাহার একবার পালকী হরণ করিয়া লইয়াছে, আবার সকলে জুটিয়া আমাদিগকে একবারে বিনাশ করিয়া যাইবে, তাহার আর সন্দেহ নাই । ”