পাতা:রশিনারা.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ఫిa: দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । বরবেশে । বেলা শেষ হইয়া আসিল । অকস্মাৎ বাদোদ্যমে চতুদিক ব্যাপ্ত হইল। বহুবিধ শিবিকায় মহা মহা সম্ভান্ত ব্যক্তিগণ আগমন করিতেছেন ; তৎসহ অসঙ্খ্য সাদী নিসাদী পদাতিগণ অস্ত্ৰ শস্ত্রে সুসজ্জিত হইয়া যাইতেছে । ঐ সকল শিবিকার মধ্যে একখানি পালকী বহুমূল্য কারুচাতুৰ্য্যে বিভূষিত ; তাহার মধ্যে একটি প্রমান বীরপুরুষ বরবেশে উপবিষ্ট রহিয়াছেন, শিবিকার দুই পাশ্বে কতগুলি অশ্বারোহী সমভাবে অশ্ব পরিচালন করিয়া যাইতেছে। বরের বেশ অপূৰ্ব্ব, রূপ অপূৰ্ব্ব ! যে রূপ গম্ভীর ভাবে শিবিকার মধ্যে বসিয়া আছেন, যে রূপ অধোবদনে থাকিয়? শুভক্ষণের আগমন-প্রতীক্ষায় চিন্তু করিতেছেন, তাহাতে কে না তাহাকে বর বলিয়া উপলব্ধি করিবে ? বিবাহের দিন পরিণেতার মুখ যেমন স্বতঃ বিকলিত বোধ হয়, এ মুখও সেই রূপ বোধ হইল । কেবল মাত্র সে মুখে ঈষৎ মলিনত সহকারে ঈষৎ উদ্ভিন্ন ভাব প্রকাশ পাইতে লাগিল ; তাহ আবার অনুভব করা সহজ কথা নহে, সহসা লোকের কর্ম নহে ; তীক্ষ চক্ষুঃ চাই, তীক্ষ ভাবুক চাই। পাঠক মহাশয়ের চক্ষুঃ যদি তীক্ষ হয়, অপরের বেশভূষা রূপ দেখিয়াই যদি তাহার মনের ভাব বাছির করিতে সক্ষম হন, তবে এই বরের প্রতি কটাক্ষপাত