পাতা:রশিনারা.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরবেশে । (లి অনেক ক্ষণ পরে বরবেশী অপর একটি সম্ভান্ত ব্যক্তিকে কহিলেন, “ ওহে বাঞ্জীপ্ৰভু ! বাদ্যকরদিগকে একবার বাদন করিতে বল, কে কেমন বাজায়, তাহ আমরা পরীক্ষা করি । ” • বাস্ত্রীপ্রভূ অবনতশিরে কছিলেন, “ যে আজ্ঞা মহারাজ ! ” শিবঞ্জী স্বয়ও বরবেশী, মোগলের তাহার গুপ্ত সামম্বদিগের গুপ্তানুসন্ধান পাইবে, এই আশঙ্কায় তিনি বাদ্যবাদন করিতে অনুমতি করিলেন । মাওলী সৈন্যাধ্যক্ষ বাজীপ্রভু উচ্চৈঃস্বরে বাদ্যকরদিগকে বাজাইতে অনুমতি করিলেন। বাদ্যকরেরাও বাদ্য বাজাইয়া আমোদ বৰ্দ্ধন করিতে লাগিল । দর্শকের ঐকান্তিক মনে তাহ শুনিতে লাগিল । শত্ৰুগণ, বিবাহের বরযাত্ৰী বলিয় তাহদের সহিত কোনরূপ কথাই কহিল না । ধন্য শিবঞ্জীর চতুরতা ! ! পাঠকগণ ! এই অপরাহ্ন সময় । সুর্য্যান্তের কিঞ্চিং বিলম্ব আছে । এখন একবার সহ্য পৰ্ব্বতের প্রতি নয়ন নিক্ষেপ করুন ; বিশ্বপিতার অপার মহিমার কার্য্য-কলাপ দর্শন করুন, অন্তরাত্মা সম্ভোষস্রোতে ভাসমান হইবে । এ স্রোতের দুর্গম বেগ ; এক বার তাহীতে গাহমান হইলে, যত ক্ষণ-জাহার প্রবল প্রবাহ থাকিবে, তত ক্ষণ আর অমাত্মা তিলাৰ্দ্ধ জন্য স২ষমিত হইবে না ; জলোচ্ছসিত নদীবক্ষে তরণী যেমন ভারবৎ গমন করে, সেইরূপ বেগে সন্তোষ-স্রোতে মনস্তুরী চলিবে । এ স্থানে প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম উভয়বিধ বস্তু আছে, যাহাতে র্যাহার তৃপ্তি জন্মে, তিনি তাছাই দর্শন করুন। এই সময় আমি একটা কথা বলিয়া রাখি, “প্রাকৃতিক শোভা দর্শনে যন্ত