পাতা:রশিনারা.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুসংবাদে । $ 40. ক্ষীণ কলেবর, তাহাও আবার সঙ্কীর্ণায়তন চীর-বাসে নবঘনঘটার ন্যায় আবৃত রহিয়াছে ; নবনীরদ আকাঙক্ষায় চাতকী যেমন সৰ্ব্বদাই ব্যাকুলা, রশিনারাও শিবাজীর সঙ্গ-লাভের প্রত্যাশায় সেইরূপ উৎকণ্ঠিত হইয়াছেন । বিরহাগ্নি প্রজম্বলিত হইয়। মনোবৃত্তি সকল দগ্ধ করিতেছে ;– এখন আর সে ধীরতা নাই ; নিতান্ত অধীরা হইয়া উঠিয়াছেন । হৃদয় নিতান্ত দুৰ্দ্দমণীয় হওয়াতে এক এক বার ভাবিতেছেন, যে “ এ পাপপুরী হইতে ভিখারিণী বেশে বহির্গত হইয়া, নগরে, কান্তারে, প্রান্তরে, পৰ্ব্বতে, যেখানে প্রিয়তমকে পাই, আম্বেষণ করিব । * আবার ভাবিতেছেন, * এখান ੋਣ বাহির হইবার উপায় কি ? প্রহরিগণ অামাকে গমন করিতে দিবে কেন ? ধন দ্বারা কি তাহাদের বশ করিতে পারিব না ? ভাল তাহারাই যেন ধনলোভে অামাকে ছাড়িয়া দিল এ পথে যদি অন্য কেহ আমাকে চিনিতে পারে ? মিনতি করিলে কি তাহারা শুনিবে না? শুনিবে বই কি । দুঃখিনীর ঃখে পাষাণ দ্রব হয়, তাহারা অবশ্যই আমাকে নিযুক্ৰান্ত হইতে দিবে । * এইরূপ ভাবিয়া, রশিনার। শযোজ্ঞরচ্ছদ পরিত্যাগ করিলেন ; যুগল কোমল কর-পল্লব দ্বারা চক্ষুঃ মুছিলেন, এবং গাত্ৰোথান করিয়া বসিলেন । যখন শয্যা- ৷ ত্যাগ করিয়া উঠিলেন, তখন প কঁাপিতে লাগিল, অঙ্গৎ কঁাপিতে লাগিলুঃ –কোথাও কি গমনের সাধ্য আছে ? শরীরে কি আর পূর্ববৎ সামর্থ আছে? এক পদও অগ্রসর হইতে পারলেন না ; হতাশ হইয়া আবার বসিলেন, উদ্যম বিফল হইল বলিয়া রোদন করিতে লাগিলেন । ক্ষণকাঙ্গ