ఫిyు রশিনারা । করিয়া একেবারে বাদশাহের সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হইলেন ; এবং যথাবিধি অভিবাদনাদি করিয়া তাহার দিকে চাহিয়া দেখিলেন, ষে, আরাঞ্জেব উৎকৃষ্ট গৌরবর্ণ; অনতিদীর্ঘ ভূমর গঞ্জিত শ্মশ্রুজালে মুখমণ্ডিত ; ললাট প্রশস্ত, ভদবলম্বী অতি সুক্ষ রেখাত্রয় ঈষৎ বায়, তাড়িত সরস্তরঙ্গের ন্যায় প্রতীয়মান .হইতেছে। নাসা ঈষদুন্নত ; চক্ষুদ্ধয় বিশাল, আকর্ণ পর্য্যন্ত বলা যাইতে পারে ; কিন্তু এ চক্ষে কিছুমাত্র স্নিগ্ধতা নাই, বিদ্যুত্তেজঃ পরিপূর্ণ ; সে চক্ষে কেবল মাত্র কুঠিল ভাব প্রকাশ পাইতেছে । চক্ষুর উপরিভাগে নয়নের উপযুক্ত জ ; সৈ জ বক্র করিয়া যাহার প্রতি কটাক্ষপাত হয়, তাহারই ওষ্ঠাগত প্রাণ হয় । আরাঞ্জেবের প্রশস্ত ললাটোপরি হীরকাদিখচিত মুকুট সংস্থাপিত ছিল । হীরক-মণি-মাণিক্যাদি-শোভিত পরিচ্ছদ অতি তেজোময়। রাজসিংহাসন চমৎকার ধাতুনির্মিত দুইটি ময়ূর, নৃত্যকর শিথিতুল্য পুচ্ছ বিস্তুত করিয়া রছিয়াছে ; ময়ূরের শরীর যেমন যে যে বর্ণে সুরঞ্জিত, সেই সেই বর্ণের প্রস্তুর দ্বারা নির্মিত বলিয়। এ শিখণ্ডদ্বয়ও প্রকৃত শিখণ্ড বলিয়া উপলব্ধি হইত। ময়ুর-যুগলের পৃষ্ঠের উপর দিব্যগঠিত এক খানি আসন সংস্থাপিত ছিল, বাদশাহ সেই আসনে বসিয়াছিলেন । সিংহাসনের উভয় পাশ্বে সুবর্ণমণ্ডিত বেদীর উপরে ওমরাহগণ মতশিরে উপবিষ্ট রহিয়াছেন । আমিখাস সভাটি শ্বেত প্রস্তরে নির্মিত, বিচিত্র শিল্প-নৈপুণ্যে বোধ হইতেছিল, যেন এক খণ্ড প্রস্তুর দ্বারাই সভাগৃহটি প্রস্তুত হইয়াছে । হায় ! কালের কি কুঠিল গতি ! যে সাজাহান দিল্লীতে এত ঐশ্বর্য্য বিস্তুত করিয়াছিলেন, তিনি
