পাতা:রশিনারা.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిషి అ রশিনারা । অন্তঃপুরের এক গবাক্ষরন্থ হইতে সমুদায় দেখিয়া শুনিয়া রশিনারা অাশ ভরসা একেবারে পরিত্যাগ করিলেন । পঞ্চম পরিচ্ছেদ । নিভূত-গৃহে। সন্ধ্যার পর আরাঞ্জেব অন্তঃপূরের এক নিভৃত-গৃহে গিয়৷ উপবিষ্ট হইলেন। পূৰ্ব্বেই তথায় লিখিবার উপকরণাদি আহরিত ছিল, লেখনী হস্তে পত্র লিখিতে বসিলেন । মুখমণ্ডল অত্যন্ত গম্ভীর, কি লিখিবেন, চিন্তা করিতে লাগিলেন । ক্ষণকাল পরে লেখনী পরিত্যাগ করিয়া অধোবদনে অঙ্গুলি ধ্ৰুভূয়ন করিতে লাগিলেন । অনেক চিন্তার পর আবার ভঁাহার চিত্তের ভাবান্তর হইল। জয়সিংহকে এ বিষয় কিছু লিখিবার আবশ্যক নাই, কেননা তাহ হইলে, পরম শত্ৰু শিবঞ্জীকে দণ্ড দেওয়া হইবে না । শিবাজী সভার মধ্যে যাহা প্রকাশ করিয়াছে, তাহা সত্য হইতেও পারে, তবে কেন আর জয়সিংহকে তদ্বিষয় লিখিয়া জঞ্জাল বৃদ্ধি করি ? শিবাজীকে বধ করাই কৰ্ত্তব্য ; অতএব, তাহারই উপায় অম্বেষণে চিত্ত নিয়োজিত করিলেন । - আরাঞ্জেব মনে মনে ইহাই তর্ক করিতে লাগিলেন, যে, * জয়সিংহ শিবঞ্জীর সহিত যে সন্ধি করেন, সে সন্ধিপত্রে এমন কি কথা আছে, যে শিবঞ্জী অামার অধীন নহে ? সে সন্ধিপত্রের তাৎপৰ্য্য কি ? তাহাতে এই মাত্র উল্লেখ