পাতা:রশিনারা.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ుషి' রশিনারা । করিও না, করিলে তোমার ভাতার দশ তোমাকে ভোগ করিতে হইবে । ভরসা করি, পরমেশ্বর সেরূপ কুপ্রবৃত্তি তোমার অন্তরে প্রদান না করুন। এখন যেমন তুমি আমার ।বাধ্য, চিরকাল সেইরূপ থাকিলে, আমার বস্থায়াস-লব্ধ এই ভারতরাজ্য মৃত্যুকালে তোমার করেই সমর্পণ করিয়া ৰাইব । , সে যাহা হউক, বাহুল্যে আবশ্যক কি, তুমি পত্র পাঠ মাত্র বিজয়পুর প্রদেশে গমন করিয়া জয়সিংহ প্রভৃতি সেনানীদিগকে কহিবে যে, “ আমি পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইয়া স্বয় রাজ্যেশ্বর হইব তোমার কথায় যে যে তোমাকে সাহায্য করতে স্বীকৃত হইবে, ভূমি অবিলম্বে তাহাদের নাম লিখিয়া অামার নিকট পাঠাইবে । * - লিপি সমাপনান্তে বাদশাহ তাহা মনোযোগের সহিত পাঠ হরিলেন । দুই তিন বার পাঠ করিয়া আবার ভাবিলেন, * যদি সেনাপতি পূত্রের কথায় সম্মতি না দেয়, তবে কি হইবে ? * মনে মনে ইহা ভাবিয়া, আরাঞ্জেব চিন্তায় মগ্ন হইলেন । অনেক ক্ষণ পরে দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কহিয়া উঠিলেন, “ হায় : রাজ্যতন্ত্র কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার । এ পদারূঢ় ব্যক্তিগণের আর নিশ্চিন্ত হইবার সময় নাই ! ভান্তলোকের বিবেচনা করে, রাজপদাভিষিক্ত ব্যক্তিগণ মহাসুখী !— কৈ আমিত ইহাতে কিছুমাত্র সুখ দেখি না ! এই গভীর। রজনীতে দীনদুঃখী কুঠিরবাসিগণ সকলেই বিশ্রাম-সুখ ভোগ করিতেছে ; কেবল মাত্র আমি ঐশিক নিয়ম লঙ্ঘন করিয়া চিন্তায় সম্মলিপ্ত রহিয়াছি ! স্থা, আমার পক্ষে চিন্তাযুক্ত থাকাই শ্রেয় ; নচেৎ বিষম ভূতপূৰ্ব্ব স্মৃতি অনুক্ষণ হৃদয় ।