পাতা:রশিনারা.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >>s ] ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । প্রবাস-গৃহে । শিবঞ্জী বাদশাহের নিকট হইতে বিদায় লইয়া বাসা বাটীতে গমন করিলেন ; এবং মাওলি সেনানী নৃত্যজী পল করের প্রতি রাজ্যের সমুদায় ভার সমপর্ণ করিয়া সৈন্যদিগকে বিদায় দিলেন । অনস্তর, তিনি আত্মরক্ষা এবং রশিনারার উদ্ধার করিবার সদুপায় ও কৌশল চিন্তা করিতে লাগিলেন । শিবঞ্জী দেখিলেন, তিনি যে সুরম্য হর্মে বাস করিতেছেন, তাহার দ্বারে স্কারে ভীমপরাক্রম প্রহরিগণ সশস্ত্রে দখঙীয়মান রহিয়াছে । বাদশাহ যে র্তাহাকে নজরবন্দী করিয়া রাখিয়াছেন, তাহ বুঝিতে শিবঞ্জীর তুল্য ব্যক্তির অধিক ক্ষণ লাগে না । তিনি মনে মনে হাসিয়া ভাবিতে লাগিলেন, “ ষে সিংহকে লৌহ-পিঞ্জরে আবদ্ধ করিয়া রাখা দুঃসাধ্য, তাহাকে কি আরাঞ্জেব বিতৎসে বন্ধন করিয়া রাখিবেন ? তিনি ভাবিয়াছেন, যে, সৈন্য-সামন্ত বিদায় দিয়া আমি এক কালে নিঃসহায় হইয় পড়িয়াছি । স্বজন দেশে প্রেরণ করিয়া যে স্বামি उँीशंद्र ষড়ঞ্জাল ছিন্ন করিবার সুত্রপাত করিয়াছি, তাহা তাহার ক্ষুদ্রান্তঃকরণে স্থান পাইবে কেন ? দেখা যাইবে, তাহার মন্ত্রণা-বৃক্ষে কি ফল ফলে ! ” আরাঞ্জেব তাহার পরিচর্য্য হেতু দাস-দাসী নিযুক্ত করিয়া দিলেন, যখন যাহা অাবশ্যক তাহা তিনি ব্যক্ত নী