পাতা:রশিনারা.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏశి - রশিনার । জপত্য-য়েহ কি প্রগাঢ় রূপে অঙ্কিত রইিয়াছে ? অারাঞ্জেবের মনে কত অচিন্তনীয় ভাবনার উদয় হইতে লাগিল, ভূয়ক্রমেও স্বাহ কখন ছদয়ে স্থান দান করেন নাই, এরূপ কত শত চিন্তা আসিয়া স্তাহার হৃদয়ক্ষেত্র আক্রমণ করিল ; কন্যার মৃত্যু স্থির কাপনা করিয়া নিঃশব্দে রোদন করিতে লাগিলেন, নয়নজলে বক্ষের পরিচ্ছেদ পলাবিত হইয় গেল, মস্তিষ্ণ চঞ্চল হইল, চক্ষে অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন ; তখন তিনি উপাধানে পৃষ্ঠ স্থাপন করিয়া নিঃসপন্দের ন্যায় রছিলেন। ক্ষণকাল পরে দীর্ঘ নিঃশবাস পরিত্যাগ পূর্বক গাত্রোথান করিয়া রুমাল দ্বারা চক্ষের জল মুছিতে মুছিতে আবার চিন্তা করিতে লাগিলেন, “ বোধ হয় তাহার স্থা হয় নাই, যদি পীড়া হইয়া পথে তাহার মৃত্যু হইত, . তবে - ক্ষগণ অবশ্যই আমাকে সংবাদ দিত ; তাহা । হইলো বিকাই বা না আনিবে কেন ? না, সে মরে নাই ! তবে কি পথে কোন শজুহন্তে পড়িয়াছে ? হিন্দুস্থানে আমার শজু এমন শৰু কে? তবে কি পথে কোন ডাকাইতের সর্দার ? ” বলিতে বলিতে মারাঞ্জেবের চক্ষু লোহিত বর্ণ হইল, জযুগল আকুঞ্চিত হইয়া উঠিল, অধরোষ্ঠ কঁাপিতে লাগিল । ক্রোধের আতিশয্যে আর কিছু চিন্তা আসিল না ; রক্ষীদিগের আগমন প্রতীক্ষায় সম্মুখে দৃষ্টি করিয়া রছিলেন । ক্ষণকাল পরে নৌবারিক আসিয়া অভিবাদন করিয়া কহিল, *ীহাপন : রক্ষিগণ দ্বারে দণ্ডায়মান ; কি আজ্ঞা হয় । ” জীয়াaেব কছিলেন, “ তাছাদের সম্মুখে আনয়ন কর । ” , নৌবারিক আজ্ঞামাত্র তাহাদের লইয়া আসিল । তিনি কলি, “তোরা রশিনারাকে কোথায় রাখিয়া আসিলি ?”