পাতা:রশিনারা.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** রশিনারা । পূৰ্ব্বক মহাকবি ছাদিকৃত গোলেস্তা নামক একখানি । গ্রন্থ লইয়া তাহার সম্ভাব-বিশিষ্ট কয়েকটি কবিতা পাঠ করিলেন। পরে তাহ পরিত্যাগ করিয়া সুবিখ্যাত হাফেজ, ফরিদুসি প্রভূতি কবিদিগের কাব্য লইয়া পাঠ করিতে লাগিলেস। আবার তাহা ত্যাগ করিয়া অন্যমনস্ক হইয়া কি জ্ঞাবিতে লাগিলেন, ভাবিতে ভাবিতে আর এক খানি গ্রন্থ লইলেন ; সে খানি সংস্কৃত গ্রন্থ । রশিনার মাতৃ এবং সংস্কৃত ভাষায় বিলক্ষণ পণ্ডিত ছিলেন ; সংস্কৃত পাঠ করিতে করিতে প্তাহার তুবনমোহন মুখকান্তি কিছু গম্ভীর হইল ; পরে দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া তাহা হইতে এই কবিতাটি আবৃত্তি করিলেন, যথা— - “ সহি গগণবিহারী কলুষধ্বংসকারী, দশশতকরধারী জ্যোতিষাংমধ্যচারী। বিধুরপি বিধিযোগাৎ গ্রাস্যতে রাহুণাসেী, লিখিতমপি ললাটে প্রোজিবতুং কঃ সমর্থঃ ৷ ” পাঠ সমাপ্ত করিয়া দীর্ঘনিশবাস-সহকারে পুস্তক নিঃক্ষেপ করিলেন । কোমল কর-পল্লব কপোলে বিন্যাস পূৰ্ব্বক অধোবদনে নয়ন মুদ্রিত করিয়া ভাবিতে লাগিলেন, “ তবে কেন বৃথা fচস্কা করি ? ললাট-লিপিতে যাহা অাছে, তাহ অবশ্যই ঘটিবে, কেহই খণ্ডন করিতে পারিবেন না । * এইরূপ প্রবোধ মনোমধ্যে উদিত হওয়াতে অপেক্ষাকৃত সুস্থির হইলেন । আবার দিল্লীর সুখপ্রাসাদ মনে পড়িয়া, অতি অধৈর্য্য হইয়া উঠিলেন ; চক্ষে বক্সপ্রদান করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। চিন্তা হৃদয়গ্রাহী নইলে এক স্থানে বসিয়া থাকিতে ভাল লাগে না ;