পৰ্ব্বতীয় প্রাসাদে । 3ఫి সৰ্ব্বত্র সুগোল, আর সুললিত। সুক্ষম-কারুকার্য্যে কেশবিন্যাস, সেই কেশ স্কুলবেণীসম্বন্ধ, মুক্তাহার এবং কুসুমদামে গ্রথিত, বেণীর অগ্রভাগ হেমভূষায় সুসজ্জিত, যেন মণিবিশিষ্ট কালফণী পৃষ্ঠদেশের ওড়নার উপর দিয়া দুলিতেছে —দর্শনমাত্রে যুবজন-হৃদয়ে তীক্ষ বিষদন্ত দংশন করে। প্রফুল্ল পদকের তুল্য বর্ণ। সুপ্রশস্ত অথচ সুগোল ললাটদেশ, শারদীয় চন্দ্রের ন্যায় উজ্জ্বল ও অতি রমণীয়,--মে ললাট অনঙ্গ মূৰ্ত্তি-প্রকাশক। ললাট-লম্বিত জযুগল, যেন চিত্রকরের তুলিকাদ্বারা সুচিত্রিত, পরস্পর সংযুক্ত নহে, কামের কার্ম কের ন্যায় বক্র, আকর্ণ পৰ্য্যন্ত অঙ্কিত, উভয় ভ্র সুচাগুবৎ কর্ণযুগলের সহিত মিশিতে মিশিতে স্থগিত হইয়াছে। তম্নিমেন দীর্ঘায়ত চক্ষুঃ বিসঙ্কারিত ও অনিৰ্ব্বচনীয় চটুলতা ও মাধুর্য্য-প্রকাশক ; নয়নবর্ণ নবনীলোৎপলদল তুল ; চক্ষুঃপল্লবে সুবঙ্ক ভঙ্গী। সুক্ষম চিকুর-জালে পদ্ম-শোভ, সে পদমরাজি মধ্যে মধ্যে প্রতিভাত হইতেছে ; যেন দৃশ্য পদার্থ দর্শন জন্য শ্রান্তিযুক্ত নয়নতারাকে নয়নপল্লব ব্যঞ্জন-কারতেছে। আর চক্ষের জ্যোতিঃ অতিশয় উজ্জ্বল ; সে উজ্জ্বল নয়নের কটাক্ষ সমধিক কোমল, নলিনী যেমন কোমল, সেই রূপ কোমল। কিন্তু দোষ-গুণ ছাড়া বস্তু নাই, স্নিস্কোঞ্জল কর-বিশিষ্ট বিধুকলারও কলঙ্ক আছে, সুকোমল কমলের মৃণালেও কণ্টক আছে,—যে বিধাত কমলে এবং সুদৃশ্য, সুগন্ধ, সুকোমল গোলাব পূপের বৃন্তে কণ্টকের সৃষ্টি করিয়াছেন, বোধ হয়, সেই নিদারুণ বিধাত অাবরি এই স্থির, স্নিগ্ধ, গম্ভীর কটাক্ষে কালকুট-কণা সংস্থাপিত করিয়া সময়ে
