পাতা:রশিনারা.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠাইয়া দিব ; তায় বলিয়া আলস্যে কাল কাটাইও না। ফলতঃ ষে সেনানী আমার কন্যার উদ্ধার করিতে এবং দসু্যকে ধরিয়া দিতে পারিবে, সেই আমার একান্ত প্রিয়পাত্র হইবে । ” এই বলিয়া অারাঞ্জেব অক্তি ব্যস্ত হইয়া বহুল সৈন্য সামন্ত সমভিব্যাহারে দিল্লীর অভিযুখে প্রস্থান করিলেন । শাইস্তা খাও আপনার স্বল্পমাত্র জলবল সহ পূনার সষিকর্ষে শিবির সংস্থাপন পূৰ্ব্বক যুদ্ধের উদ্যোগে থাকিয় সেনাপতিদ্বয়ের আগমনের প্রতীক্ষায় রছিলেন । আমরাও এই অবকাশে মহাবীর শিবাজীর জীবনচরিত সংক্ষেপে বর্ণন করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। ५ মুখম সুবর্ণ-মণি-মাণিক্যাদি-প্রস্তুত ভারত-রাজ্যলিপসু হইয়া হিমাচলের উত্তর ভাগ হইতে মোগলের সদৰ্পে দিল্লীর রাজধানী আক্রমণ করেন, তখন বাদশাহ ইব্রাহীমলদী অসংখ্য সৈন্য সমভিব্যাহারে সেই আক্রমণের প্রতিরোধ করেন। কিন্তু বহু বিস্তীর্ণ ভারতবর্ষ কখনও একের অধীনে থাকিবার নহে। তৎকালীন দিল্লীর বাদশাহ ইব্রাহিমলদী কতিপয় উৎকট নিয়মের অনুসূরণ করিয়া আপামর সাধারণের অসন্তুষ্টির কারণ হইয়া ইঠিলেন ; তাহার পাঞ্জাব প্রদেশীয় মহাবীৰ্য্যশালী সেনানী দৌলত খাঁ শত্ৰুপক্ষের সহায় হইয়া দিল্লীতে পাঠানবংশীয় রাজনগণের প্রভূত্ব নিঃশেষ করিলেন । . . মহাবলপরাক্রান্ত মোগলের যুদ্ধে দিন দিন পাঠানদিগের নিস্তেজ করিতে লাগিলেন বটে, কিন্তু বহুকাল পর্য্যন্ত উছিাদের স্বাধীনতা দক্ষিণাত্যে বিরাজ করিতেছিল । পাঠান ভূপালদিগের রাজপাট বিজয়পুর তখনও সর্বাংশে শৰুকর-কবলিত হয় নাই । যখন ইব্রাহিম আদিলশাহ ।