পাতা:রশিনারা.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃস্বপ্নে । 8రి ছিল, তাহার সহিত আমাদের কোন সৎসুব নাই । যাহা হউক, শত্ৰুগণ পৰ্ব্বতীয় দুর্গ দুৰ্গম বলিয়া আক্রমণের চেষ্ট হইতে এককালে নিরাশ হইত । এতাদৃশ স্থানে রশিনারাকে অনিয়ন করিয়া শিৰঞ্জী বিপক্ষের আক্রমণ বিষয়ে এককালে শঙ্কাবিহীন হুইয়াছিলেন । , গিরিদুর্গের প্রায় সমুদায় অট্টালিকার চতুর্দিকেই পূপোদ্যান শোভিত ছিল । রশিনারা গোলাবীর সহিক্ত কথন বা কুসুম কাননে, কখন বা পৰ্ব্বতের অধিত্যকায়, কখন দ্রা দুৰ্গস্থ - মনোহর পুরীর মধ্যে ভূমণ করিয়া নয়ন তৃপ্ত করিতেন। শিবঞ্জীর সহিত প্রত্যহই ঙাহার সাক্ষাৎ হইত ; মহারাষ্ট্ররাজের প্রতি র্তাহার যে আন্তরিক ঘৃণা ছিল, তাহী ক্রমে দূর হইল ; শিবঞ্জীর সহবাসে রশিনারার প্রবৃত্তি পর্য্যন্ত পরিবর্তিত হইল। শিবজী যেমন সহাস্যমুখে তাহার সন্তোষ সাধনে যক্তন পাইতেন, তিনি তদ্রুপ সন্তোষের চিহ্ন মুখে দেখাইতেন না । কিন্তু, অৰঃসলিল নদী যেমন সাগরোদেশে গমন করে, রশিনারাও সেই রূপ শিবঞ্জীর প্রতি অনুরাগিণী হইলেন ; কেন ষে রশিনার তাহা গুপ্ত করিয়া রাখিতেন, তাহা তিনিই বলিতে পারেন । এক দিন রশিনার। পূৰ্ব্বপরিচিত পুস্তকালয়ের মধ্যে পুস্তক - পাঠ করিতেছেন, গোলাবী একতান-মনে তাহ শুনিতেছে । গৃহের বাতায়ন গুলি উদ্বোটিত, সুমন্দ গন্ধবহ পূপের প্রাণ বহন করিয়া সৌরভে গৃহ ব্যাপ্ত করিতেছে, সুরভি দ্রব্যে মাজ্জিত বসনের সুগন্ধে গৃহ মোহিত করিতেছে । রশিনারা ক্ষণকাল পাঠ ক্ষান্তু রাখিয়া কছিলেন,— “ গোলাৰ, মনে সুখ ছয় না কেন ? ”