পাতা:রশিনারা.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8१ ] নবম পরিচ্ছেদ । শয়নাগারে । . শরৎকালের প্রারম্ভে যখন পৃথিবী সুন্দরী কেতকীকুসুমে অঙ্গানুরাগ করেন, তখন তাহার সৌরবে কে না বিমোহিত হন । রূপ, রস, গন্ধে কেতকীকুসুম যেমন চিত্তহীরক, সেরূপ আর দেখা যায় না। মধুলোলুপ মধুব্রত, মধুমিশ্রিত সুমধুর স্বরে কেতকী আলিঙ্গনে প্রধাবিত হয়, মধুপান করিয়া তৃপ্ত হইবে বলিয়া কুসুমের উপরি উপবিষ্ট হয় ; কিন্তু তাহার মধুপান করা দূরে থাকুক, কেবল সুতীক্ষ কণ্টকাঘাতে পক্ষ ছিন্ন ভিন্ন হয়, ও কুসুমরজঃ চক্ষে প্রবেশ করিয়া অপরিণামদশী মধুকরকে অন্ধ করে। মনুষ্য ভবিষ্যৎ অন্ধ। মধুমত্ত মধুকরের ন্যায় রূপ, রস, গন্ধে বিমোহিত। শিবৰ্জীও সেইরূপ নবযৌবনসম্পন্ন রশিনারার রূপগুণ সন্দর্শনে বিমোহিত হইলেন । বিমোহিত হইয়াই যে চিরসুখে জলাঞ্জলি প্রদান করিলেন, তখন তাহা বুঝিতে পারিলেন না । বুঝিতে পারিলেন না বলিয়াই আপনার পাষাণময় হৃদয়ে অপূৰ্ব্ব রূপনিধি রশিনারার প্রতিমূৰ্ত্তি চিত্রিত করিলেন। যদি জানিতে পারিতেন, যে, তাছার আশা-বৃক্ষে কি ফল ফলিবে,—তিনি সে রূপে কি রূপ লাস্থিত হইবেন, তবে তিনি তাহাকে দেখিয়া মোহিত হইতেন কি না, বলিতে পারি না । কিন্তু, তিনি পরিণামে রশিনারার প্রতিমূৰ্ত্তি হৃদয় হইত্তে অপনয়ন করিতে যতন পাইয়াছিলেন । বৃথা যতন ! পাষাণে