পাতা:রশিনারা.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রশিনায়া । - צג* দিকে চাহেন, সেই দিকেই দেখেন, পাপিষ্ঠ সেনানী রশিনায়ার মন ভুলাইতে যতন করিতেছে ! অমনি যেন শত শত তীক্ষ ছুরিক হৃদয়-মধ্যে বিদ্ধ হইতে লাগিল ; বিষম যন্ত্রণার বেগ সম্বরণ জন্য রোদন না করিয়া থাকিতে পারিলেন না । ক্ষণকাল রোদন করিয়া কিছু স্থির হইলেন । এবং পরে কি করিবেন বলিয়া কেবল চিন্তায় প্রবৃত্ত হুইলেন, অমনি ঘটনাগুলি আবার মনে পড়িল ; অীয় বুদ্ধির স্থিরতা সম্পাদন করিতে পারিলেন না। আবার গম্ভীরভাব অবলম্বন করিলেন —তখন র্তাহার ললাটদেশে শিরার উদ্ভব হইল, হুতাশন জ্বালাবৎ নয়নতার ঝলসিতে লাগিল, মন্দ মন্দ তরঙ্গান্দোলনবৎ নাসারন্থ, কঁাপিতে লাগিল, জযুগল আকুঞ্চিত হইতে লাগিল, গ্রীবাদেশ ঈষৎ বক্র হইল, গম্ভীরনিঘোষ-অশনি-প্রদীপ্ত মেঘবং শরীর প্রদীপ্ত হইল, অধর কম্পিত হইতে লাগিল, অঙ্গে স্বেদস্রোতঃ বহিতে লাগিল ; উৎকট মানসিক যন্ত্রণার অতিশষ্যে এক স্থানে বসিয়া থাকিতে আসন যেন অগ্নিবৎ বিবেচনা হইতে লাগিল ; শিবঞ্জী তখন গাত্রোথান করিয়া পদসঞ্চালন করিতে লাগিলেন । সুস্নিগ্ধ নৈশ বায়ু তাহার প্রতপ্ত হৃদয়ের তাপ হরণ করিতে লাগিল। কত্ত ক্ষণ যে তিনি এই রূপ অবস্থায় পদসঞ্চালন করিক্তেছলেন, তদ্ধিষয়ে তখন তিনি পরিমাণ-বোধ রহিত । সুখন রজনী গম্ভীরা, তখন একবার দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া অনন্যমনে তথা ছুইতে বহিরুদ্যানে গমন করিলেন। উর্কে দৃষ্টি করিয়া দেখিলেন, শারদীয় পূর্ণশশধরের স্নিগ্ধময় রশ্মিজাল বিকীর্ণ হইয়া নীলাম্বরতল ধবলীকৃত হইয়াছে ; অনিল তাঞ্জি বারিদ-খণ্ডগুলি ইতস্তুতঃ সঞ্চালিত হইতেছে, কোথাও অন্ধ দ